বরগুনার বেতাগী উপজেলার ফুলতলা নুরুন্নেচ্ছা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান স্কুল না গিয়েও সরকারি বেতন ভাতাদি যথারীতি ভোগ করছেন বাড়িতে বসে।
সরজমিনে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান সর্বশেষ বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি আর স্কুলে যাননি। স্কুলে না গিয়েও তার ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সোহরাব হোসেন ও আবদুল খালেকের মাধ্যমে শিক্ষক হাজিরা বাড়িতে নিয়ে স্বাক্ষর করছেন। এ কাজে সহায়তা করছেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ গোলাম মাসুদ। একইভাবে মাসিক বেতন ভাতাদির সরকারি অংশে বাড়িতে বসে স্বাক্ষর করছেন এবং যথারীতি টাকা উত্তোলন করছেন।
একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হওয়ায় ৫ জন শিক্ষক ও ২ জন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী চাকরি করছেন। সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীরা চাকরির ভয়ে মুখ খুলছেন না।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদেরকেও প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের সভাপতি নানা ধরণের হুমকি দিয়ে আসছেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান বলেন, স্কুলের অফিস সহকারী নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে, তাই আমার বিপক্ষে যারা আছেন, তারা এটা বানিয়ে বলছেন। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তবে প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমানের স্কুলে অনুপস্থিতের কথা শিকার করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ গোলাম মাসুদ বলেন, প্রধান শিক্ষক কিছুদিন অনুপস্থিত ছিলেন, তবে এখন আর অনুপস্থিত নেই। তার বিপক্ষের লোকজন এগুলো বানিয়ে বলছেন।
এ বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাত আলী মোল্লা বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমি মৌখিকভাবে কিছু অভিযোগ শুনেছি। তবে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারব।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজীব আহসান বলেন, অভিযোগ শুনেছি, এ বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।