পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরও বছরের পর বছর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আবাসিক হলে অবস্থান করছেন অনেক সাবেক শিক্ষার্থী। যাদের কারোই নেই ছাত্রত্ব।
এমন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আদু ভাই’ হিসেবে পরিচিত। সামনাসামনি ‘আদু ভাই’ সম্বোধন করতে না পারলেও পেছনে সবাই কমবেশি এ নামে ডাকে তাদের।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ক্যাম্পাসে অবস্থান করা এমন সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে মাদক বিক্রি ও সেবন বন্ধ করতে ক্যাম্পাস এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি সোমবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ এন্ড ডিসিপ্লিন সভার সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে গত ০৯ জানুয়ারি প্রদত্ত সুপারিশ-১ ও সুপারিশ-২ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সুপারিশের আলোকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় গোপন ও সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী যেকোনও মাদকাসক্ত ব্যক্তি, ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন সম্ভাব্য মাদক বিক্রির স্থান ও মাদক সেবনের স্থানসমূহে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, হল ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানকারী ছাত্রত্ববিহীন (প্রাক্তন/বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন ব্যক্তিদের আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। ১৫ মার্চের পর থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্রত্ববিহীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কাওকে পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের এ জরুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। সভায় চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।