‘করোনা সংক্রমণের পিক টাইম আসছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক |

দেশে করোনা সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে বলে সতর্কতা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা করোনা সংক্রমণের ৭০ দিন পার করেছি। আমি মনে করি, আমরা পিক টাইমের দিকে যাচ্ছি। দৈনিক শনাক্তের হার কমতে শুরু করলে বলতে পারবো যে পিকে পৌঁছে গেছি। এখন সংক্রমণ বাড়ছে। তারপরও আমি মনে করি, তা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে না, ঠিকই আছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) সচিবালয়ে বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত করোনার আপৎকালীন ওষুধ ‘রেমডেসিভির’ গ্রহণকালে এ কথা বলেন তিনি। কেবলমাত্র মুমূর্ষু রোগীদের ক্ষেত্রে এ ওষুধ প্রয়োগ করা হবে। 

করোনা রোগীদের চিকিৎসার প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশে প্রতিনিয়তই রোগী বাড়ছে। তুলনামূলকভাবে আমরা অন্য দেশের তুলনায় এখনও ভালো আছি। প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়তই এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন, পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
 
‘সারাদেশে ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল করেছি। আমাদের কমিটমেন্ট ছিল, মে মাসে প্রতিদিন ১০ হাজার টেস্ট করার, দু’দিন আগেই সেটা হয়ে গেছে।’
 
রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দ্রুত তৎপর হতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, যেখানেই দেরি হয়েছে সেখানেই রোগী বাঁচানো কষ্ট হয়েছে। দেরিতে হাসপাতালে নেয়াটা খুবই ক্ষতিকর।

দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশনে বর্তমানে সাড়ে ৩ হাজারের মতো করোনা রোগী আছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই রোগের সঠিক চিকিৎসা নাই, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া অনুসরণ করতে হবে। বাজারঘাটে যাতে লোক কম যায়। (ঈদ ঘিরে) ফেরিঘাটে মানুষ জটলা পাকায়, সেখানে সংক্রমনের একটা আশঙ্কা আছে। সরকার যথেষ্ট চেষ্টা করেছে তাদের ঠেকাতে। তবুও মানুষ চলে যাচ্ছে।
 
‘মায়েরা কাপড় চোপড় কিনতে যাচ্ছে, ছোট বাচ্চাদেরও সাথে নিয়ে যাচ্ছে। আমি অনুরোধ করবো, আপনারা যাবেন না, বাচ্চাদের নিয়ে যাবেন না। নিজেরাও আক্রান্ত হবেন, শিশুরাও আক্রান্ত হয়ে যাবে। ঈদ তখন আর আনন্দের থাকবে না, নিরানন্দ হবে। দেখা যাবে একটা বিরাট ক্ষতি হয়ে গেছে। এই ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকতে হবে।’
 
বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস প্রস্তুতকৃত রেমডেসিভির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই ওষুধ ব্যবহারের বিষয়টি বিশেষজ্ঞরা নির্ধারণ করবেন। বেক্সিমকো প্রথম কোম্পানি যারা দেশে এই ওষুধটি তৈরি করেছে। খুবই মুমূর্ষু রোগীর ক্ষেত্রে এই ওষুধটি দেয়া হবে। সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষজ্ঞরা। আশা করি এটি দিয়ে মানুষের উপকার হবে, জীবন রক্ষা হবে। কোভিড-১৯ রোগের ভ্যাকসিন বা ওষুধ এখনও তৈরি হয়নি। বেশ কিছু ওষুধ বাজারে এসেছে। এসব ওষুধ কিছু কিছু মাত্রায় কাজ করে, কিন্তু শতভাগ কাজ হচ্ছে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ - dainik shiksha চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার - dainik shiksha কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার ৫ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস, তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর - dainik shiksha ৫ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস, তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026819705963135