‘জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করায় আমরা কলঙ্কমুক্ত হলাম’

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

সন্ত্রাসী কর্মকা-ের দায়ে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রতিক্রিয়ায় শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেছেন, আমরা কলঙ্কমুক্ত হলাম। ভারমুক্ত হলাম। অভিশাপমুক্ত হলাম। গতকাল যোগাযোগ করা হলে তিনি আরো বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হলেও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড- থেমে থাকবে না। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, আমরা খবুই আনন্দিত। আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সফলতা-সার্থকতা পেয়েছি। আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবি যেমন করেছি এতদিন ধরে, তেমনই যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী দল জামায়াত এবং তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়ে আসছি; বিচারের দাবি করে আসছি। এতদিন পর সরকার বিষয়টা আমলে নিয়েছে; জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছে। এতে আমরা অভিশাপ-ভারমুক্ত হলাম। আনন্দিত হলাম।

তিনি আরও বলেন, ওরা (জামায়াত-শিবির) সন্ত্রাসী দল। ওদের ধর্মই হলো সন্ত্রাস করা। সন্ত্রাস তারা করবেই; নামে-বেনামে। এতদিন নামে করত, এখন বেনামে সন্ত্রাস করবে। সে জন্য আমাদের প্রত্যেকের সতর্ক থাকতে হবে। সজাগ থাকতে হবে। নানা রকমের হুমকি তারা দেবে।

এই শহীদজায়া আরও বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হলো। তাই বলে তারা চুপচাপ চলে যাবে, তা কিন্তু নয়। সে জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তারা অন্য নামে সংগঠন করার চেষ্টা করবে বা অন্য সংগঠন করতে চাইবে। সে জন্য সেসব সংগঠন সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য যেকোনো সংগঠনকে অনুমতি দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া সংগঠন যারা করবে, নতুন দল করবে, তাদের মধ্যে জামায়াত রয়েছে কিনা সেগুলো দেখতে হবে। নিষিদ্ধ দল কোথাও থাকতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ হয়েছে। এখন তাদের যত প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে। তাদের নামে কোনো প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে না। সন্ত্রাসীদের কোনো কিছু থাকতে পারে না। জামায়াত-শিবির হয়তো সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করবে। সেই মামলা মোকাবিলা করে যথাযথ জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে গড়া এই দেশ। তারা (জামায়াত-শিবির) এ দেশের জন্মই চায়নি। ওদের কিন্তু শক্তিহীন মনে করলে চলবে না। জবাবটাও সমুচিত দিতে হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে ঢাবি অধ্যাপকের নতুন প্রস্তাব - dainik shiksha রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে ঢাবি অধ্যাপকের নতুন প্রস্তাব শিক্ষকদের মনোকষ্ট - dainik shiksha শিক্ষকদের মনোকষ্ট কানাডা যেতে মানসিক রোগী পরিচয় দিলেন শিক্ষিকা - dainik shiksha কানাডা যেতে মানসিক রোগী পরিচয় দিলেন শিক্ষিকা সেপ্টেম্বরে লিখিত পরীক্ষার ফল, ভাইভা অক্টোবর - dainik shiksha সেপ্টেম্বরে লিখিত পরীক্ষার ফল, ভাইভা অক্টোবর শিক্ষক হেনস্তা ও অপমানের নেপথ্যে - dainik shiksha শিক্ষক হেনস্তা ও অপমানের নেপথ্যে ছাত্রলীগ নেত্রীরাও স্কুল-মাদ্রাসা অডিটের দায়িত্বে - dainik shiksha ছাত্রলীগ নেত্রীরাও স্কুল-মাদ্রাসা অডিটের দায়িত্বে ডাকসুতে প্যানেল বাতিলসহ ৮দফা প্রস্তাবনা ইউআরআই‘র - dainik shiksha ডাকসুতে প্যানেল বাতিলসহ ৮দফা প্রস্তাবনা ইউআরআই‘র কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.015133142471313