রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় অবস্থিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। রোববার (৬ অক্টোবর) ভোর ৫টায় কুমিল্লায় গ্রেফতার হওয়া সম্রাটকে ঢাকায় এনে র্যাব সদর দপ্তরে রাখা হয়। এরপর র্যাব তার কয়েকটি আস্তানায় অভিযান চালায়।
গণমাধ্যমে শারমিন চৌধুরী জানান, ইসমাইল হোসেন সম্রাটের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে ১৯ বছর আগে। তবে দুবছর তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ নেই। ওপেন হার্ট সার্জারির কারণে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠা সম্ভব হয় না বলে সম্রাট মহাখালী ডিওএইচএসের এ বাসায় আসেন না। কাকরাইলে অফিসে শারমিন চৌধুরী মাসে এক বা দুবার যেতেন জানিয়ে বলেন, সম্রাটের সঙ্গে প্রথম স্ত্রীর বিচ্ছেদের পর তার সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের শুরুতে সম্রাট জুয়া খেলতেন তা তিনি জানতেন না।
সম্রাট ক্যাসিনো চালাতেন বিষয়টি তারা জানা ছিল না দাবি করে শারমিন চৌধুরী বলেন, আমি তাকে চিনি যুবলীগের একজন ভালো নেতা হিসেবে। উত্তর ও দক্ষিণের সবাই তাকে ভালো নেতা হিসেবে জানে। তার অনেক জনপ্রিয়তা ছিল যা অনেকের ছিল না।
তাদের এক সন্তান রয়েছে জানিয়ে শারমিন চৌধুরী বলেন, দুই বছর সম্পর্ক না থাকার কারণে আমি হয়তো জানি না সে (সম্রাট) এত বড় ক্যাসিনো চালায়। তিনি দাবি করেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সম্পদ বলতে কিছু নাই।
তিনি আরো বলেন, সম্রাট ক্যাসিনো চালিয়ে যা করে তা দিয়ে দল পালে, হয়তো সিঙ্গাপুরে রাখে আর এখানে বা বাইরে জুয়া খেলে।
আরও পড়ুন: সম্রাটের ৬ মাসের কারাদণ্ড
সম্রাটের বিদেশি বান্ধবী নিয়ে যা বললেন স্ত্রী শারমিন
জামায়াত নেতার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন যুবলীগ নেতা সম্রাট
সম্রাট-আরমান যুবলীগ থেকে বহিষ্কার
সম্রাটের প্রথম স্ত্রী ও ছেলেকে খুঁজছে র্যাব
শারমিন চৌধুরী বলেন, সম্রাট অন্যদের মতো না। সে আগে থেকেই সম্রাট। শুরু থেকেই সে ভালোভাবে চলাফেরা করত। তার পারিবারিক অবস্থা আগে যেমন ছিল এখনো তেমন আছে।
জুয়া খেলা সম্রাটের নেশা জানিয়ে তিনি বলেন, সম্পদ জমানো তার নেশা না। টাকা জমিয়ে সিঙ্গাপুরে জমা রাখত জুয়া খেলার জন্য। দুবছর ধরে বিদেশি এক নারীর সঙ্গে সম্রাট সিঙ্গাপুরে গিয়ে সময় কাটাত বলেও দাবি করেন শারমিন।
ক্যাসিনোর সঙ্গে তিন-চার বছর ধরে সম্রাট জড়িত বলে তিনি অনুমান করেন। তিনি জানান, এর আগে ঠিকাদারি করতেন যুবলীগের সাবেক এ নেতা।
ইয়ংমেন্স ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার খালেদ ভুইয়াকে কাকরাইলের কার্যালয়ে তার সঙ্গে কয়েকবার দেখেছেন শারমিন। খালেদও যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা।
শারমিন জানান, শান্তিনগর ও মহাখালী ডিওএইচএস এর দুটি বাসা সম্রাটের নিজস্ব। এ ডিওএইচএস আরেকটি ফ্ল্যাট কাকরাইলের অফিস তার নিজস্ব হলেও ভবনটি নিজস্ব ছিল না। সম্রাট সবার সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করতেন। সংগঠনের ছেলেদের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করতেন। মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করতেন। তিনি আরো বলেন, যুবলীগের নেতা খালিদকে চিনলেও জি কে শামীম বা এমন কাউকে চেনেন না।