মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা সালমা জাফরিনকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে গেল ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রোববার (১০ মার্চ) তাকে বদলি করে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অভিযোগে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা সালমা জাফরিন এবং যুগ্ম সচিব ইয়াসমিন বেগমের অবিরত দুর্ব্যবহারে কর্মচারীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এমন অভিযোগ নিয়ে এরই মধ্যে প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কারণ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো এমন অভিযোগ করেছেন কর্মচারীরা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের সই করা অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, দুই কর্মকর্তার কারণে কর্মপরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠছে। গত এক বছরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিসভা ও রিপোর্ট অনুবিভাগের বিভিন্ন শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে, যা একদিকে যেমন অগ্রহণযোগ্য তেমনি অপেশাদারিত্বের চরম দৃষ্টান্ত।
এ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা সালমা জাফরীন এবং মন্ত্রিসভা/রিপোর্ট ও রেকর্ড অধিশাখার যুগ্ম সচিব ইয়াসমিন বেগম তাদের অধীনস্তদের প্রতি রূঢ় আচরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের অগ্রহণযোগ্য আচরণ করছেন। বর্তমানে তাদের আচরণ সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাদের এমন অসহিষ্ণু আচরণ, ব্যক্তি আক্রমণ যেমন অপেশাদারিত্বের বহিঃপ্রকাশ, তেমনি তাদের অযোগ্যতার লক্ষণও বটে।
আমাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বিভিন্ন উপনামে যেমন—বেবি এলিফ্যান্ট, হাদা-বোদা, জমিদারের বাচ্চা, নবাবপুত্র ইত্যাদি ডাকা প্রতিদিনের ঘটনা। সবসময় চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন এবং এখানে চাকরি করার অযোগ্য বলে চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন। তাদের অগ্রহণযোগ্য আচরণে কর্মচারীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।