পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ছিলেন তার নানা। তার এক চিঠিতেই যুক্তরাজ্যের বিশ্বখ্যাত ক্যামব্রিজ বিশ্বদ্যিালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পান বাংলাদেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি নিজেই এ কথা জানান।
সে সময়ের স্মৃতিচারণ করে অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, আমার এডুকেশনের রেজাল্ট খুব ভালো ছিলো। কিন্তু, আমার বাবার দৃষ্টি অন্য পথে ছিলো। তিনি চাইতেন, আমি বিজনেস করি। কিন্তু, কামাল হোসেন (ড. কামাল হোসেন) আমেরিকা যাওয়ার আগে দেখা করে বললেন, তুমি তোমার জীবন এখানে কেনো নষ্ট করছো, তোমার তো ভালো ইউনিভার্সিটিতে যাওয়া উচিত। কাজিন কায়ছার মুরসিদ, যিনি পরে পররাষ্ট্রসচিব হন তিনিও অক্সফোর্ড-ক্যামব্রিজে পড়তে যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেন।
অধ্যাপক সোবহান বলেন, একদিন জাহাজে ভেসে যাই বম্বে। আরো বহু পথ পাড়ি দিয়ে সুয়েজ খাল, জিব্রাল্টার প্রণালী পার হয়ে ইংল্যান্ডে। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দের ৬ মার্চ। সেখানে সেন্ট পলসের একজন সহপাঠী ছিলেন, তার বাবাকে জানালাম ক্যামব্রিজে পড়ার আগ্রহের কথা। কিন্তু, সেই ভদ্রলোক আমার ক্যামব্রিজে পড়ার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, লাস্ট মিনিটে দরখাস্ত করেছি। এন্ট্রি হওয়ার এক্সপেকটেশন ছিলো না। শুধু আমার নানার চিঠির কারণে (খাজা নাজিমুদ্দিন) আমাকে সুযোগ দেয়। খাজা নাজিমুউদ্দিন ওই কলেজে পড়াশোনা করেছেন। যখন পাকিস্তানের প্রাইম মিনিস্টার ছিলেন, ওই কলেজ উনাকে ফেলো করেছে। আমার ক্যামব্রিজে যাওয়ার কথা শুনে উনি একটা চিঠি লিখে দিয়েছিলেন।
রেহমান সোবহান বলেন, যদিও পরে নানা প্রাইম মিনিস্টার পদ থেকে বাদ পড়লেন। কিন্তু, যেহেতু তিনি সেখানকার ফেলো, আমার পক্ষে একটা চিঠি লিখেছেন। ব্রিটিশ সেন্স অব অনার ছিলো যে, একবার যাকে সম্মান দিয়েছে তাকে না করাটা অভদ্রতা। তো ওই সময় আমি সেটার বেনিফিসিয়ারি হয়ে গেলাম।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।