দৈনিক শিক্ষাডটকম, ইবি : ‘নেটওয়ার্ক না থাকায় মার্কশিট প্রিন্ট দেয়া যাচ্ছে না’। নোটিশ আকারে লেখাটি সাঁটানো হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের দেয়ালে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এমন চিত্র দেখা যায়। এতে অনেক শিক্ষার্থীই সেবা নিতে গিয়ে ফিরে এসেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফয়সাল মাহমুদ বলেন, কাগজপত্র তুলতে গিয়ে দেখি এরকম একটা লেখা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের একটি রুমের দরজায় ও দরজার পাশে সাঁটানো। রোববার গিয়েও দেখেছি, আজকেও (মঙ্গলবার) লেখা আছে। দুই একজন কর্মকর্তা বলছিল যে বের হচ্ছে না নম্বরপত্র আমাদের। এটা দিতে দেরি হবে। এগুলো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির আওতাধীন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটি সিঙ্গাপুরে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। আর এ ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন সেমিস্টারের মার্কশিট নিতে রসিদের মাধ্যমে ৫০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে সেই রসিদের একটি অংশ জমা দিতে হয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে। জমা দেয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে মার্কশিটটি প্রিন্ট করে দেয়া হয়। তবে গত তিনদিন ধরে নেটওয়ার্ক ধীরগতি থাকায় মার্কশিট প্রিন্টে জটিতলা দেখা দিয়েছে।
মার্কশিট প্রিন্ট দেয়ার দায়িত্বে থাকা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের শাখা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানান, তিনদিন ধরেই নেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টার বেশি নেট থাকছে না। গতকাল একদমই ছিল না। আজতো কারেন্ট শুধু যাচ্ছিল আর আসছিল। এরমধ্যে প্রায় পাঁচশোর মতো মার্কশিট প্রিন্ট দিয়েছি। যে সময়টাতে নেট পাচ্ছি তখনই প্রিন্ট দিচ্ছি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত তিনদিন ধরে নেটওয়ার্কে সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যাটা শুধু আমাদের এখানেই না, সারাদেশেই হচ্ছে। সবাইকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে। কয়েকদিন পরেই এই সমস্যা কেটে যাবে বলে জানান তিনি।