পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এক ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে হাজির করার নির্দেশ এবং পরবর্তীতে তাকে মুক্তি দেয়ার এই আদেশ নিয়ে আলোচনা চলছে গোটা দুনিয়ায়। দেশটিতে বিক্ষোভ ও কঠোর ধরপাকড় পরিস্থিতির মধ্যে উচ্চ আদালতের এই আদেশে বদলে গেছে পুরো পরিস্থিতি। যুগান্তকারী এই আদেশের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক দুই বিচারক।
তারা বলেছেন, এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ। এই আদেশ প্রমাণ করে তাদের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন।
পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশকে সাহসী আদেশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এমএ মতিন। তিনি বলেন, পাকিস্তানে বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে এই সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এক ঘণ্টার মধ্যে হাজির করতে বলেছেন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট । হাজির করার পর আবার ইমরান খানের আটককে ইলিগ্যাল বলেছেন। তাকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিঃসন্দেহে এটা পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের জন্য সাহসী আদেশ বলবো। আসলে বিচারপতিদেরতো এমনই হতে হয়।
বিচারপতিদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হয়। আমাদের দেশের বিচারপতিরাও এক সময় অনেক সাহসী রায়, আদেশ দিয়েছেন। এখন হয়তো একটু কম দেখা যায়। দেশের বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী থাকলে সে দেশে অন্যায়, দুর্নীতি থাকতে পারে না।
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ও রিটায়ার্ড জাজেজ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. শাহজাহান বলেন, পাকিস্তানে চলমান পরিস্থিতিতে এই আদেশ অবশ্যই সাহসী আদেশ। তাদের এই আদেশ একজন মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার আদেশ হিসেবে মনে করি। সংবিধানের প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী তারা যুগান্তকারী এমন একটি আদেশ দিয়েছেন। আমাদের দেশের আদালতগুলোও মানুষের মৌলিক অধিকারের বিষয়ে এমন আদেশ দিতে পারেন। সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকারের বিষয়ে যথাযখ পদক্ষেপ নেয়ার কথা সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। এতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। জনগণ ন্যায় বিচার পাবে। দেশে অন্যায়কারী, দুর্নীতিবাজদের সংখ্যা কমবে। এতে দেশের ভাবমূর্তিও বাড়ে।