উপাচার্য, উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে দিনের পর দিন নিয়োগ না দেয়ার কারণ খুঁজে বের করার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। গতকাল তিনি আলাপকালে বলেন, বোর্ড সদস্যরা অর্থাৎ মালিকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে একভাবে দেখতে চান। আবার উপাচার্য, উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষরা আরেকভাবে দেখতে চান। এতে কোথাও কোনো স্বার্থের সংঘাত হচ্ছে কিনা, তা দেখা দরকার। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ভোরের কাগজ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
তিনি বলেন, দিনের পর দিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শীর্ষ পদে নিয়োগ হচ্ছে না। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চলছে কী করে? এক্ষেত্রে দায় তো শুধু বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরদারির অভাবও মনে হচ্ছে আমার কাছে। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, শুধু বেসরকারি কেন অনেক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও ঠিক সময়ে উপাচার্য, উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। উপাচার্য ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠান চলছে কী করে? এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের জবাবদিহি প্রয়োজন।
সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আলাদা করতে নারাজ জানিয়ে তিনি বলেন, বিভাজন করা উচিত নয়। শিক্ষার্থী কোথায় পড়ছে, সরকারি না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটারও বিভাজন টানা উচিত নয়। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শীর্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও সরকারি-বেসরকারি টানা উচিত নয়। এক্ষেত্রে শীর্ষ পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য শুধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিও নজর দিতে হবে। আর এটা করতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখানে নজরদারির অভাব রয়েছে।