অনেক আগেই মেয়াদ শেষ হয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির। এরপর নির্বাচনের জন্য তৈরি করা কমিটিরও মেয়াদ শেষ। কিন্তু সংগঠনের সদস্য-সচিব পরিচয়ে একক সিদ্ধান্তে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ভোটার সংগ্রহের জন্য তারিখবিহীন চিঠি দিয়েছেন বিদায়ী কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক মো: শাহেদুল খবীর চৌধুরী। চিঠিতে তিনি নিজেকে সমিতির সদস্য-সচিব পরিচয় দিয়েছেন। সমিতির সব ইউনিটকে দেয়া চিঠিতে ৩৬ ও ৩৭তম ব্যাচের ক্যাডার সদস্যদের ভোটার তালিকাভুক্তির জন্য ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জনপ্রতি ২০০ টাকা সমিতির জনতা ব্যাংকের হিসেবে জামা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া পুরনো সদস্যদের যাদের চাঁদা বকেয়া ও ভোটার তালিকায় নাম নেই তাদেরকেও এ সময়ের মধ্যে জনপ্রতি ৪০০ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
তবে, এ ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও সদস্য সংগ্রহের উদোগকে অবৈধ বলেছেন সমিতির আহ্বায়ক বিদায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘এই মাত্র খবর পেয়েছি অবৈধ চিঠির। পুরোটাই অবৈধ। শাহেদুল খবীর এখতিয়ার বর্হিভূত কাজ করেছেন। মহাপরিচালকের মধ্যস্থতায় একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন সংগঠনের সিনিয়ররা। নির্বাচন কমিশন গঠন হবে এবং তারাই ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ করবেন।
সেলিম খোন্দকার বলেন, আগামীকাল শুক্রবার সকালে সিনিয়র সদস্যদের সাখে আলাপ করার পর বিবৃতি দেয়া হবে। আহ্বায়ক কমিটির কোনও সভা আমি ডাকিনি। ভোটার তালিকা নিয়ে যে চিঠি দেয়া হয়েছে তা অবৈধ।
সরকারি কলেজ-মাদরাসার শিক্ষকতার পদসহ শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে নিয়োজিত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সদস্যরা। সারাদেশের তাদের সদস্য সংখ্যা ১৫ হাজারের কিছু বেশি।