‘ব্যাকডেটে’ মাদরাসায় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি |

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত একটি মাদরাসায় ‘ব্যাকডেটে’ অবৈধভাবে শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত জুলাই মাসে উপজেলার শ্রীফলকাটী দাখিল মাদরাসা এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচন করে সরকার। অভিযোগ আছে, নির্বাচিত হওয়ার পর সুপার সুপার হারুন-অর-রশিদে ব্যাকডেটে দুইজন সহকারী শিক্ষক ও একজন কর্মচারীকে মাদরাসায় নিয়োগ দিয়েছেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ জন শিক্ষক ও একজন কর্মচারী দিয়ে মাদরাসার কার্যক্রম চলছিল। সম্প্রতি মাদরাসা এমপিওভুক্ত হওয়ার কথা শুনে সুপার হারুন অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে দুইজন সহকারী শিক্ষক ও একজন কর্মচারীর নাম রেজিস্ট্রারে ও হাজিরা খাতায় লিপিবদ্ধ করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক জানিয়েছেন, মাদরাসার সহকারী সুপার আমিনুর রহমান হাজিরা খাতায় জাল স্বাক্ষর করে রেজিস্ট্রার খাতা পূরণ করেছেন। রেজিস্ট্রার খাতার আগে পাতা লাগিয়ে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে স্বাক্ষর ও বর্তমান নিয়োগপ্রাপ্ত দুইজন সহকারী শিক্ষক, একজন কর্মচারী হাজিরা সংশোধন করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে  দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে করা এক প্রশ্নের জবাবে সহকারী সুপার আমিনুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, মাদরাসার সুপার হারুন অর-রশিদের নির্দেশে তিনি এ কাজ করেছেন।

শিক্ষকদের অভিযোগ, মাদরাসার সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমানের স্ত্রী বালিয়াডাঙ্গা বাজার মাদরাসায় চাকরি করতেন। এমপিওভুক্ত হওয়ার খবর শুনে সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমান সুপার হারুনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তার স্ত্রীকে শ্রীফলকাটী দাখিল মাদরাসায় অবৈধভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেন।

মাদরাসাটির কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন দুইজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারী বেশকিছুদিন ধরে মাদরাসায় আসছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মাদরাসার সুপার হারুন-অর-রশিদ মাদরাসায় যা বলেন আমরা শিক্ষকরা তার কথা শুনতে বাধ্য হই। 


 
বিষয়টি নিয়ে এ প্রতিবেদক সুপার হারুন-অর-রশিদের কাছে তথ্য চান। কিন্তু সুপার তথ্য দিতে টালবাহানা করেন। হারুন-অর-রশিদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমতি ছাড়া কোনো তথ্য দিতে পারবো না। অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্যও করেননি তিনি। 

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মাদ তেজারত দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তারা তথ্য না দিলে আমার কিছু করার নেই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। 

সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্ল্যাহ আল-মামুন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ বিষয় তিনি কিছুই জানেন না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি ছাত্রী তিথির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড - dainik shiksha ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি ছাত্রী তিথির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে - dainik shiksha একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে ভর্তি পরামর্শ: কলেজ পছন্দ জরুরি - dainik shiksha ভর্তি পরামর্শ: কলেজ পছন্দ জরুরি মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট - dainik shiksha মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচনী হাটে এমপিও শিক্ষকের কপাল ফাটে - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচনী হাটে এমপিও শিক্ষকের কপাল ফাটে অন্ত*র্বাসে লুকানো ডিভাইস, ১০ মিনিটেই শেষ পরীক্ষা - dainik shiksha অন্ত*র্বাসে লুকানো ডিভাইস, ১০ মিনিটেই শেষ পরীক্ষা ১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, সবাই ফেল - dainik shiksha ১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, সবাই ফেল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর - dainik shiksha এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053050518035889