টাঙ্গাইল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়‘মার্কেট নির্মাণে আইনগত বাধা নেই, অহেতুক মানববন্ধন’

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি |

টাঙ্গাইল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মার্কেট নির্মাণের কাজ চলছে গত ২৮ জুলাই থেকে। কিন্তু হঠাৎ করেই গতকাল রোববার বিদ্যালয়ে মার্কেট নির্মাণকে কেন্দ্র করে মানববন্ধন করেছেন কতিপয় সাবেক ছাত্রী। 

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়,  এই স্কুলের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি কোষাগার থেকে বেতন (এমপিও) ছাড়া কোনো আয়ের উৎস নেই। এই প্রতিষ্ঠানের সারা

বছরের খরচ চালানো কষ্টকর। স্কুলের তহবিল থেকে শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। লেখাপড়া ধরে রাখতে গেলে মেয়েদের ফ্রি পড়ার ব্যবস্থা করা হয়। যাতে ঝরে না পড়ে। এগুলো চালানো অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই স্কুলসংলগ্নে পাইকারি চালের মার্কেট করার হচ্ছে। কিন্তু অপপ্রচারকারীরা বলছেন, কাঁচাবাজার হবে। যা ডাহা মিথ্যা। 

এক প্রশ্নের জবাবে দৈনিক আমাদের বার্তাকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত ২৮ জুলাই থেকে কাজ চলছে। এই বিদ্যালয়ের মার্কেট নির্মাণে কোনো আইনগত বাধা নেই। হঠাৎ করেই মার্কেট নির্মাণকে কেন্দ্র করে গতকাল মানববন্ধন করেছেন কিছু প্রাক্তন ছাত্রী। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি কুদরত-ই-এলাহী বলেন, মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে প্রায় দেড় মাস। এখানে আইনের কোনও ব্যতয় ঘটেনি। আমি বলবো এই মানববন্ধন অবশ্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কোনো কারণ ছাড়াই এই মানববন্ধন করেছে। এই মানববন্ধন করে আমার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের ক্ষিপ্ত করে তোলার ষড়যন্ত্র মাত্র।

আরও পড়ুন: স্কুলে মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু আইনের ব্যত্যয় ঘটেনি : সভাপতি

কুদরত-ই-এলাহী  আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে কেউ কেউ। তারাই বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজে বাঁধা দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। এরাই অসৎ উদ্দেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এখানে পাইকারি চালের মার্কেট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু কাঁচাবাজার করার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। 

তিনি আরো জানান, পাইকারি চাউলের মার্কেট ও একাডেমিক ভবনের চার তলা ভবন নির্মাণ করার জন্য গত ৬ এপ্রিল বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের ২২তম সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ে নিয়োগকৃত প্রকৌশলী বিদ্যালয়ের মার্কেটের নকশা তৈরি করেন এবং আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গত ৭ মে প্লান মঞ্জুর করার জন্য টাঙ্গাইল পৌরসভায় জমা দেয়া হয়। 

পৌরসভার আইন ও বিধি মোতাবেক চতুর্থ তলা পর্যন্ত নির্মাণ ফি বাবদ ৮৩ হজার ৫৪৪ টাকা টাঙ্গাইল পৌরসভার হিসাবে প্রিমিয়ার ব্যাংকে জমা দেয়া হয় এবং ৪০ নম্বর চালানের মাধ্যমে ১৫ শতাংশ  ভ্যাট হিসেবে ১২ হাজার ৩৮২ টাকা সরকারি কোষাগারে সোনালী ব্যাংকের টাঙ্গাইলের প্রধান শাখায় জমা দেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে টাঙ্গাইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত নির্মাণ স্থানটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে গত ১৮ জুলাই মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর প্লান অনুমোদন করেন। এখানে আইনগত কোনো বাধা নেই।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে - dainik shiksha অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে দুই শব্দে অধ্যক্ষের পদত্যাগ! - dainik shiksha দুই শব্দে অধ্যক্ষের পদত্যাগ! বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে পাকিস্তান - dainik shiksha বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে পাকিস্তান বিএনপি নির্বাচিত হলে গুম প্রতিরোধে আইন করব: তারেক - dainik shiksha বিএনপি নির্বাচিত হলে গুম প্রতিরোধে আইন করব: তারেক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইসহাক আলীর মৃত্যু শ্বাসরোধে: মেঘালয় পুলিশ - dainik shiksha ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইসহাক আলীর মৃত্যু শ্বাসরোধে: মেঘালয় পুলিশ ঢাবিতে যোগ দিলেন চাকরিচ্যুত অধ্যাপক ড. সাইফুল - dainik shiksha ঢাবিতে যোগ দিলেন চাকরিচ্যুত অধ্যাপক ড. সাইফুল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048568248748779