চাঁদপুর জেলা পরিষদের আয়োজনে চাঁদপুর জেলার ৪শ কমান্ডার ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি মিলনমেলায় পরিণত হয়। বুধবার দুপুরে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বত্তৃদ্ধতা করেন সাবেক মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধকালীন ক্র্যাকপ্লাটুন কমান্ডার মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।
মায়া চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে আগে কেউ আমাদের খোঁজও নেয়নি। একটা সময় স্বাধীনতা দিবসও ঠিকমতো পালন করা হতো না। আর এখন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা সম্মান পাচ্ছি। শেখ হাসিনা জানেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কিভাবে সম্মান দিতে হয়। চাঁদপুর জেলা পরিষদ আজ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে তারাও সম্মানিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনের সময় আমার সৌভাগ্য হয়েছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকার। তিনি তখন বলেছিলেন, মেট্রোরেলে চড়তে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো ভাড়া লাগবে না। এটি একটি বিরল সম্মান। একসময় এদেশে প্রতিনিয়ত অসম্মান করা হতো মুক্তিযোদ্ধাদের। বুক ফুটে কান্না এলেও কিছু করতে পারি নাই। লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদেশে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এখন দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে উন্নয়ন। নৌকা আবারও বিজয়ী হলে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান অক্ষুণ্ন থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গণি পাটওয়ারী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা একটি গৌরবের বিষয়। আজকে আমি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পবন হিসাবে এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এটির কৃতিত্ব আপনাদের। আপনারা যদি সেদিন জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে না যেতেন, তাহলে আজ আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ দেখতে পেতাম না। আজ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন রাসেলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ, যুদ্ধকালীন নৌ-কমান্ডার শাহজাহান কবির বীর প্রতীক, এফএফ কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রুস্তম আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী প্রমুখ।