‘র‌্যাগিং বন্ধে আগে ব্যবস্থা নিলে আবরার খুন হতো না’

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং বন্ধে আগে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো; বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার মতো ঘটনা ঘটত না বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ। তিনি বলেন, 'শিক্ষক সমিতি আবরার হত্যার ঘটনা নিয়ে এখন মিছিল করছে। এখন কেন তারা মিছিল করছে? আগে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং হচ্ছে- সেখানকার প্রশাসন দেখেনি কেন? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা ভিসি কী করেছেন এতদিন? যে-ই বিস্ফোরণ ঘটল, বুয়েট ছাত্র আবরার মারা গেল। যখন প্রধানমন্ত্রী বললেন, এটার বিচার হতে হবে; তখন সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ল। এর আগে শিক্ষক কর্তৃপক্ষ কী করেছেন?

শনিবার (১২ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে 'যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ল' রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) এবং বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএনডব্লিউএলএ) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

যৌন হয়রানি প্রসঙ্গে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ বলেন, 'যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের বিষয়টি নিজেদের ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে দেশের গণমাধ্যমগুলোকে সবার আগে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। সংবাদ মাধ্যমের মালিক-সম্পাদকদের এ সংক্রান্ত কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। ফলে গণমাধ্যমগুলোর জন্য কমিটি গঠন আরও সহজ হবে।'

যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের আলোকে দ্রুত একটি আইন প্রণয়ন করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ বলেন, শিক্ষা বা কর্মপ্রতিষ্ঠানের যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে 'কমপ্লেইন কমিটি' আছে কি-না, তা দেখতে হবে। না থাকলে 'কমপ্লেইন কমিটি' গঠনের ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটলে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের ঘরই আগে ঠিক করতে হবে। আমরা এজলাসে বসে মানুষের ঘর ঠিক করার কথা কতটা নৈতিকভাবে বলতে পারি- সেটা নিয়েও প্রশ্ন আসতে পারে।

বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বা অন্য যে কোনো ধরনের হয়রানি-নির্যাতনের জন্য শিক্ষকদের দায় নিতে হবে। কারণ শিক্ষকরাই হচ্ছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক।'

কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন বিএনডব্লিউএলএ'র সহসভাপতি জোবায়দা পারভিন, সাধারণ সম্পাদক সীমা জহুর ও পরিচালক তৌহিদা খন্দকার; ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ বাবলুর রহমান, ল' রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ হিরন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুন আহসান রাজু, সাবেক সভাপতি এম বদি-উজ-জামান, চ্যানেল আইর বিশেষ প্রতিনিধি মাজহারুল হক মান্না, একাত্তর টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মিলটন আনোয়ার ও সময় টিভির রিপোর্টার আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সিনিয়র রিপোর্টার মো. মাসউদুর রহমান।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023059844970703