‘শিক্ষকদের ঠিকমতো বেতন দেয়া হয় না, শুধু ভবন করা হয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ এন রাশেদা বলেছেন, শিক্ষকদের ঠিকমতো বেতন দেয়া হয় না। শুধু বিল্ডিং করা হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার উন্নয়ন করা যাবে না। শিক্ষাক্ষেত্রে ভয়াবহ দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা চলছে। এগুলো দূর না করলে আরও খারাপের দিকে যেতে হবে।

গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর কমরেড মণি সিংহ সড়ককের মুক্তিভবনের প্রগতি মিলনায়তনে সিপিবির শিক্ষক শাখা আয়োজিত 'শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দের গতিধারা ও তার পরিণতি' শীর্ষক সেমিনারে সভপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম। আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন, অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, অধ্যক্ষ আকমল হোসেন, শিক্ষক পতিত পাবন ও অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ এন রাশেদা। 

এ এন রাশেদা আরও বলেন, একমুখী শিক্ষার কথা আমাদের সংবিধানে থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। 

সেমিনারে ড. তাজুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির আকাঙক্ষা ছিল, স্বাধীনতার ৫০ বছরে তার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তা নির্ধারণের প্রধান সূচক হলো শিক্ষাখাতে অগ্রগতি। 

শিক্ষার জন্য চাই অর্থায়ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জন্য বাজেটে জিডিপির ৭ ভাগ বরাদ্দ ও প্রকৃত শিক্ষা কার্যক্রমে তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, সমাজের অংশ হিসেবে শিক্ষা নিয়ে কথা বলা বা আন্দোলন করার দায়িত্ব সব নাগরিকের। কারণ শিক্ষাই একমাত্র সেক্টর যা বর্তমানের সঙ্গে ভবিষ্যতের সেতুবন্ধন তৈরি করে।  

অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ শিক্ষার জন্য শিক্ষাব্যবস্থা পাল্টাতে নৈতিক ও অর্থনৈতিক আন্দোলন করতে হবে। ভারসাম্যপূর্ণ এজেন্ডা তৈরি করে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামতে হবে। 

অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় বড় টাওয়ার হচ্ছে। এতে শিক্ষার সংকট দূর হবে না। শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বরাদ্দ সুনির্দিষ্ট করতে হবে। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ দূর করতে হবে। 

অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল্লাহ ভূইয়া বলেন, শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সময় দায়িত্বের কথা বলতে ৫০ শতাংশ শিক্ষা দেয়ার আর ৫০ শতাংশ গবেষণার কথা বলা হয়। আমাদের দেশে শিক্ষকদের এই গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ দেয়া হয় না। নিজেকেই নানাভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। উপযুক্ত শিক্ষা ও উপযুক্ত শিক্ষক সমস্যার সমাধান না করতে পারলে শিক্ষার উন্নয়ন হবে না। 

আলোচনায় শিক্ষাবিদরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, এগুলো দেখার কেউ নেই। নির্ধারিত আলোচকদের আলোচনা শেষে মুক্ত আলোচনা পর্বে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও রাজনীতিবিদরা অংশ নেন।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল   SUBSCRIBE   করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024430751800537