দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: ইডেন মহিলা কলেজের উৎপত্তি হয়েছিলো ব্রাহ্মণ মেয়েদের জন্য ‘শুভ স্বাধিনি সেবা’ নামে একটি মানব হিতৈষী সংস্থা কর্তৃক ঢাকায় ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুল থেকে। গভর্নর স্যার অ্যাসলি ইডেনের নামানুসারে এর নতুন নামকরণ হয় ইডেন গার্লস স্কুল। স্যার অ্যাসলি ইডেন ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার সাঁওতাল বিদ্রোহ দমনের ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন উন্নয়নশীল কর্মে তার অবদান অনস্বীকার্য। আমাদের কলেজের নামটি যেমন সকলকে মুগ্ধ করে ঠিক তেমনই শিক্ষা ক্ষেত্রে এবং বিভিন্নমুখী কল্যাণমূলক কর্মে ইডেনের অবদান সকল ছাত্রীকেই অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
ইডেন মহিলা কলেজ প্রকৃত অর্থেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। আমরা ছাত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠান কিংবা আমাদের কারিগরদের (গুরুজনদের) জন্যে কতোটা করতে পেরেছি জানি না, তবে আমাদের প্রকৃত অর্থেই শিক্ষিত মানুষ করে গড়ে তুলতে আমাদের শিক্ষকরা সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইডেন কলেজে পাঠগ্রহণ করার সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই গর্ববোধ করি। এ বছর আমাদের কলেজের ১৫০ বছর পূর্তিতে আমরা শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত, গর্বিত। এই শুভক্ষণে শিক্ষার্থী হিসেবে, নাগরিক হিসেবে, মানুষ হিসেবে পৃথিবীর উন্নয়নে ভবিষ্যতে অবদান রাখতে পারলেই তবে ‘ইডেন মহিলা কলেজ’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির জন্য কিছু করতে পেরেছি বলে ধারণা রাখতে সক্ষম হবো বলে আমি মনে করছি।
জেরিন বিনতে আসাদ, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং