‘ষোল আনা’ উৎসব ভাতা চালু করুন

অধ্যক্ষ মুজম্মিল আলী |

আজ কয়েক মাস ধরে লিখি লিখি করেও লেখা হয়ে ওঠেনি। বয়েস বাড়ার সাথে সাথে কেন জানি ব্যস্ততাও বেড়ে চলে। মানুষের জীবনে হয়ত এটি একটি স্বাভাবিক নিয়ম। সাত মাস যুক্তরাজ্যে  বসবাস শেষে দেশে ফিরে আসার ছয়মাস হতে চলেছে। ভেবেছিলাম দেশে এসে কিছুদিন নিয়মিত লেখালেখি করবো। কিন্তু, ব্যস্ততার জন্যে সেটি আর হয়নি। একারণে দৈনিক শিক্ষাডটকমের প্রিয় পাঠকদের বেশ কিছুদিন খুব বেশি মিস করেছি। 

সেই কবে থেকে এই অনলাইন পত্রিকার ভালোবাসায় জড়িয়েছিলাম, সেটি মনে নেই। সারা দেশের শিক্ষক সমাজের আস্থা ও ভালোবাসার একমাত্র জায়গা এই অনলাইন দৈনিকটি। শিক্ষা ও শিক্ষকদের সমস্যা নিয়ে একমাত্র দৈনিক শিক্ষাই সর্বদা আপসহীন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকে। সেজন্যে গোটা দেশের শিক্ষক সমাজ বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ এই ডিজিটাল পত্রিকার সঙ্গে আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ স্বজন। সেই সুবাদে দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের সাথে আমারও অন্য রকম সখ্য। দেশে বিদেশে যখন যেখানে গিয়েছি, সব সময় দৈনিক শিক্ষাডটকমের সান্নিধ্য খুঁজেছি। এর প্রতিটি পৃষ্ঠায় প্রতিনিয়ত শিক্ষা ও শিক্ষকদের দৈন্যদশা এবং  প্রতিকারের উপায় চমৎকারভাবে চিত্রিত হয়ে থাকে। শিক্ষা ও শিক্ষক সমাজের নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম দৈনিক শিক্ষার সাথে ইদানীং যুক্ত হয়েছে ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’। শিক্ষার সব অসঙ্গতি ও শিক্ষক সমাজের সকল দুর্গতি তুলে ধরতে ‘দৈনিক শিক্ষাডটকম’ ও ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’র যুগপৎ প্রয়াস সত্যি প্রশংসনীয়। শিক্ষক সমাজের দুর্দিনের সহযাত্রী এই প্ল্যাটফর্মে সম্পৃক্ত থাকার সুযোগটি কে হাতছাড়া করতে চায় ?

গত কয়েক বছর ধরে দৈনিক শিক্ষায় লেখালেখি করে আসছি। শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে মূলত আমার এসব লেখা। এ কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকদের ভালোবাসায় অনেক সময় সিক্ত হয়েছি। দৈনিক শিক্ষার সাথে আরও অন্তরঙ্গভাবে মিশতে পেরেছি। 

তাই, শত ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন পর হলেও আজ আবার প্রিয় পাঠকদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি, পাঠক সমাজ দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতিকে মার্জনার দৃষ্টিতে দেখবেন।

গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী মহোদয় মহান জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেছেন। বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে বলে বরাবরের মত এবারো শুনছি। কিন্তু, বেসরকারি শিক্ষকদের প্রাণের দাবি জাতীয়করণ কিংবা বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, ঈদ উৎসব ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে কোন ইঙ্গিত নেই। কেবল লুটপাট করে খাবার জন্য ফি বছর শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে কী লাভ ? আজকাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ, সংস্কার ও দেশে-বিদেশে শিক্ষক প্রশিক্ষণের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের বিষয়টি এক রকম ওপেন সিক্রেট। একেকটি ভবন নির্মাণের জন্য যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়, প্রকৃতপক্ষে এর তিন ভাগের এক ভাগ লুটপাটকারীদের পকেটেই যায়। সংস্কারের নামে একেকটি প্রতিষ্ঠানে যে পরিমাণ অর্থ মঞ্জুরি দেয়া হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর অর্ধেকও প্রতিষ্ঠানের ভাগে পড়ে না। প্রশিক্ষণের নামে প্রতি বছর কত টাকা যে বেপথে যায়, সে কেবল আল্লাহ মা’বুদই জানেন।
 
ফি বছর মে-জুন মাসে শিক্ষক প্রশিক্ষণের নামে এক অন্য রকম উৎসব পড়ে যায়। স্কুল পর্যায়ে তখন অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা এবং কলেজ পর্যায়ে অন্যান্য পরীক্ষার ঝামেলা থাকে। সারা বছর ট্রেনিংয়ের কোন খবর থাকে না। অর্থ বছরের শেষ মাসে এসে ট্রেনিংয়ের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিষ্ঠানের পাঠদান, পরীক্ষা সবকিছু ফেলে রেখে অধিকাংশ শিক্ষককে ট্রেনিংয়ে যেতে হয়। কখনো কখনো বছরের শেষ সময়ে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ট্রেনিংয়ের আয়োজন করা হয়। তখন লেখাপড়া ও বার্ষিক পরীক্ষার ভরা মওসুম। আমার দীর্ঘদিনের শিক্ষকতা জীবনে তাই দেখে আসছি। বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে মন্ত্রী-মিনিস্টার ও আমলাদের আত্মীয়-স্বজন যারা শিক্ষক, তারাই সুযোগ পায়। খুঁটির জোর কিংবা মামু না থাকার কারণে অনেক যোগ্য শিক্ষক বিদেশে প্রশিক্ষণে যাবার খবর কিংবা নামগন্ধও পান না। খালি খালি বিল্ডিং তৈরি করে আর শিক্ষকদের যখন তখন ট্রেনিং দিয়ে শিক্ষার মান বাড়ানো যায় না। সর্বাগ্রে শিক্ষকদের জীবন মান উন্নত করে তবেই শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা সম্ভব। একজন শিক্ষকের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে কেবল চারতলা কিংবা আটতলা ভবন দিয়ে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলা যায় না। সরকারের উন্নয়ন দেখানোর জন্য স্কুল-কলেজে বড় বড় বিল্ডিং তৈরি না করে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করার উদ্যোগ নিলে জাতি অধিকতর লাভবান হবে।

এনটিআরসিএ’র নাম বদলে যাবার কথা শোনা যাচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগে ইদানীং এই প্রতিষ্ঠানটি শূন্যপদ পূরণের চেয়ে ভরা পদকে শূন্য করছে বেশি। আমার প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষককে তৃতীয় ধাপের প্রথম চক্রে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ দেয়া হয়। স্কুল থেকে মাদরাসায় যাবার কারণে ঐ শিক্ষককে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অবশেষে বেচারা নিজের ইনডেক্স এবং দু’-তিন মাসের বেতন খুইয়ে নতুন ইনডেক্স নিয়ে মাদরাসায় কোমরটা সোজা করতে না করতে আবার একই নিয়োগ ধাপের দ্বিতীয় চক্রে বাড়ির পাশে অন্য একটি কলেজিয়েট স্কুলে এনটিআরসিএ নিয়োগের সুপারিশ দিয়েছে। এভাবে যেনতেন মনগড়া নিয়োগের সুপারিশ দিয়ে তারা অনেক প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মরত পদটি শূন্য করে দিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়ে চলেছে। এক জায়গা খালি করে আরেক জায়গা পূরণ করার অর্থ অনেকের মত আমারও বোধগম্য হয়নি। আমার প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক নিয়ে মাদরাসায় দেবার পর সেখান থেকে অন্যত্র নিয়োগের সুযোগ দেয়ার অর্থ এই যে, একটি প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদ পূরণ করতে অন্য দু’টি প্রতিষ্ঠানের দু’টি পদ শূন্য করে দেয়া হলো। তাতে কি লাভ হয় ? 

এ কারণেই মনে হয় এখন অনেকে এনটিআরসিএ’কে একটি ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান মনে করেন। আর এ জন্যই মনে হয় সরকার এটি বিলুপ্ত করে শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন করে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বদলে  সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ করতে চাচ্ছে। সরকার এ রকম চিন্তা করলে এটি একটি সময়োপযোগী কাজ হবে। এনটিআরসিএ এ পর্যন্ত তিনটি মাত্র নিয়োগের সুপারিশ করে কতো যে ঝামেলার সৃষ্টি করেছে, সে হিসেব কে জানে ?  আমার মনে হয়, এসব কারণে এনটিআরসিএ’র বিরুদ্ধে বহু মামলা আদালতে চলমান।

১৩তম নিবন্ধনধারীগণ স্কুল-কলেজের বিদ্যমান শূন্য পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আইন আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে যারা হাইকোর্টে রিট করেছিলেন, আদালত তাদের শূন্য পদে নিয়োগ দেবার বিষয়ে এনটিআরসিএ’কে নির্দেশনা দিয়েছেন। জানি না, এরা তাদের নিয়োগের সুপারিশ করেছে কি না ? এই রায়ে উৎসাহিত হয়ে এরপর আরও অনেকে সম্মিলিতভাবে রিট করেন। মহামান্য আদালত থেকে তাদেরও নিয়োগ দেবার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু, এনটিআরসিএ’র আইনজীবী নাকি এর বিপক্ষে আপিল করার কথা জানিয়েছেন। এটি কেমন কথা? এতে আপিলের কী আছে? দয়া করে ঝামেলা না বাড়িয়ে তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা নিন। কেবল নিবন্ধন পরীক্ষা আয়োজন নয়, সকল নিবন্ধন ধারীদের নিয়োগের ব্যবস্থা করাও এনটিআরসিএ’র প্রধান কাজ বলে সকলে মনে করেন। কেন জানি, এই সংস্থাটি শুরু থেকেই লেজে গোবরে অবস্থায় পতিত হয়ে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে চলেছে।

ঐতিহাসিক মুজিববর্ষে শিক্ষা জাতীয়করণের বিষয়ে আমরা অনেকটা নিশ্চিত ছিলাম। ভেবেছিলাম, সরকার এই গৌরবময় বর্ষটিকে মহিমান্বিত করার জন্য পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা না হউক অন্তত মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরটি জাতীয়করণ করবে। কিন্তু, কেন জানি তারা সেটি করেনি। সরকার শিক্ষক সমাজ তথা জনগণের হৃদয় জয় করার এবং জাতির জনকের জন্মশতবর্ষটিকে চিরস্মরণীয় করার এই মোক্ষম সময়টিকে কেন কাজে লাগায়নি, সেটি কেবল তারাই বলতে পারেন। পদ্মা সেতু নির্মাণের সাথে শিক্ষা জাতীয়করণ হলে ঐতিহাসিক মুজিববর্ষটি চিরস্মরণীয় হয়ে যেত। শেষের দিকে অনেকে ভেবেছিলেন, আর কিছু না হউক মুজিববর্ষে অন্তত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া আর শতভাগ উৎসব ভাতা প্রাপ্য হবেন। কিন্তু, শেষমেশ সবই গুড়ে বালি হলো। 

আমি যখন শিক্ষকতা শুরু করি, তখন মরহুম এরশাদ সাহেবের সরকার ক্ষমতায়। আমার যতটুকু মনে পড়ে, জাতীয় পার্টির আমলে বেসরকারি স্কুল-কলেজ সর্বপ্রথম এমপিও’র আওতায় এসেছিল। এরপর বিএনপি এলো। এরা সিঁকি উৎসব ভাতা চালু করে। জাতীয় পার্টি এবং বিএনপি শিক্ষা ও শিক্ষকদের জন্য আর কিছু করে নাই, সেটি আমি বলি না। তবে সেই সময়গুলোতে শিক্ষক সমাজ বলাবলি করতেন, কোনোদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে স্কুল-কলেজ সরকারি হবে এবং শতভাগ উৎসব ভাতা ও সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া পাওয়া যাবে। এরশাদ সাহেব কিংবা বেগম খালেদা জিয়ার কাছে এমনটা কেউ কোনদিন আশা করেনি। জাতির জনকের তনয়া শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন এবং এই দলটির নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলে তাদের কাছে শিক্ষক সমাজের এরকম একটি প্রত্যাশা জন্মেছিল। আজ আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায়। তাদের ক্ষমতাকালে ঐতিহাসিক মুজিববর্ষে সেই স্বপ্নকে আরও বেশি বদ্ধমুল করেছিল। এখন মুজিববর্ষ পেরিয়ে এসব না পাওয়াতে সকলে এক রকম হতাশায় ডুবে আছেন। 

মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব 

ঈদুল আযহা সমাগত প্রায়। আর মাত্র এক মাসের মত বাকি আছে। সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরে ষোল আনা উৎসব ভাতা দেয়া হবে, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ এমন একটি আশা করে বসেছিলেন। কিন্তু হয় নাই। বছরে ঈদ পাঁচটি কিংবা দশটি নয়। দু’টো মাত্র ঈদ। দয়া করে এই ঈদুল আযহা থেকে শতভাগ উৎসব ভাতার আদেশ জারি করে দিন। বিএনপি সরকারের ‘সিঁকি আনা’ উৎসব ভাতার কলঙ্কটি অনুগ্রহ করে মুছে দিয়ে জাতিকে লজ্জামুক্ত করুন। চার দলীয় জোট সরকারের ‘সিঁকি’ উৎসব ভাতার  দুর্নামের বিপরীতে ‘ষোল আনা’ উৎসব ভাতার  গৌরবময় অধ্যায়টি রচনা করে দিয়ে যান।

লেখক : মুজম্মিল আলী, অধ্যক্ষ, চরিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কানাইঘাট, সিলেট


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029420852661133