সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ডাকা সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশে থাকা বাধ্যতামূলক এবং সমাবেশে যোগ না দিলে হল ছেড়ে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) চবি ছাত্রলীগের ওই নেতার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
অডিও বার্তায় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘ঢাকায় ছাত্র সমাবেশ শুক্রবার। যারা এ এফ রহমান এবং আলাওল হলে আছো, তাদের ঢাকায় যাওয়া বাধ্যতামূলক। শুক্র ও শনিবার দুই দিনই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। যদি কারও পরীক্ষা থাকে, তাহলে তা রোববার। আমরা পরীক্ষা না দিয়েও ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। শুক্রবারে সমাবেশে যোগ দিয়ে শনিবার পড়ালেখা করে পরীক্ষা দিবা।’
ঢাকায় যাওয়ার গাড়ি ভাড়া ও খাবারের ব্যবস্থা তিনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী করবেন বলে অডিওটিতে তাকে বলতে শোনা যায়। শেষে হুশিয়ারি দিয়ে ইলিয়াছ বলেন, যারা যাবে না, তারা আল্লাহর ওয়াস্তে নিজ দায়িত্বে হল ছেড়ে দিয়ে বাহিরে চলে যাও।
অডিওটি নিজের স্বীকার করে মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, এটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, শুধু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর জন্য নির্দেশনা ছিল। যারা ছাত্রলীগের নাম দিয়ে হলে থাকছে তারা ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে না গেলে সংগঠনের নাম ব্যবহার করার দরকার নেই।
মোহাম্মদ ইলিয়াছ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০–১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে এ এফ রহমান হল ও আলাওল হল তার নিয়ন্ত্রণে। নিয়ম মেনে সর্বশেষ ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে জুনে হলগুলোতে আসন বরাদ্দ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে হলে কে উঠবে কে থাকবে—এসব নিয়ন্ত্রণ ছাত্রলীগই করছে।
চবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ বিশ্ববিদ্যালয়ের বগিভিত্তিক বিজয় গ্রুপের নেতা। শাখা ছাত্রলীগের এই গ্রুপটি চবির স্যার এ এফ রহমান ও আলাওল হলের অধিকাংশই নিয়ন্ত্রণ করে। গ্রুপটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।