‘সালাম পছন্দ না হওয়ায়’ রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করে নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পল্টন মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সালাম দেয়া পছন্দ না হওয়ায় শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করে নির্মমভাবে পেটানো হয় হওয়ায়’ রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে। একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অনলাইন মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ আদালতের নজরে আসলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রকাশিত সংবাদটি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ (১) (সি) ধারায় আমলে নিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পল্টন থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
আদেশে আরো বলা হয়, একটি স্যাটেলাইট টিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত ‘সালাম পছন্দ না হওয়ায় দরজা বন্ধ করে নির্মমভাবে পেটালেন ছাত্রকে’ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রচারিত হয়। এই সংবাদ আমলি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। প্রচারিত সংবাদটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, পল্টন থানার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে অবস্থিত পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক জামাল হোসাইন এই প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণির একজন ছাত্রকে কক্ষের দরজা বন্ধ করে সালাম দেয়া পছন্দ না হওয়ায় নির্মমভাবে নির্যাতন ও মারধর করেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী অন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দাবি করেন, ওই শিক্ষক ছাত্রদের তার কোচিংয়ে ভর্তি না হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়ে মারধর ও হয়রানি করেন। সংবাদে প্রকাশিত ঘটনা সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে দেখা যায়। এ ঘটনা শিশু আইন, ২০১৩-এর ৭০ ধারা (শিশুকে শারীরিক নির্যাতন) এবং দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৩৪২ ধারাসহ অন্যান্য ধারার অপরাধকে আকৃষ্ট করে।
এ পরিস্থিতিতে পল্টন মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) নিজে সরেজমিনে তদন্ত করে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহসহ ভুক্তভোগী এবং প্রয়োজনীয় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হলো।