‘স্যার’ না বলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেন লাইনম্যান

ফেনী প্রতিনিধি |

ফেনীর সোনাগাজীতে পল্লীবিদ্যুতের লাইনম্যানকে ‘স্যার’ না বলায় বাগ্বিতন্ডার জেরে এক গ্রাহকের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলদ গাছ কাটার প্রতিবাদ করায় উপজেলার দক্ষিণ চরচান্দিনা গ্রামের মো. সেলিম নামের এক গ্রাহকের সঙ্গে এই বাগবিতন্ডায়।

ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে, দক্ষিণ চর চান্দিনা গ্রামে। এর প্রতিকার চেয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে গ্রাহক সেলিম সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘরের পেছনে কয়েক জন অজ্ঞাত-পরিচয় লোক ফলদ গাছের ডালপালা কাটছিল। সে সময় তাদের বলি, কে রে তোরা গাছ কাটছিস, তোদের পরিচয় দে। জবাবে তারা বলে, তুই আমাদের তুই করে কেন বলছিস। আমি বললাম, তাহলে আমি তোদের কী বলে ডাকব? তারা বলে, স্যার ডাকবি। একপর্যায়ে তারা আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’ ‘এর কিছুক্ষণ পর আবার এসে আমার বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরদিন (মঙ্গলবার) সকালে সোনাগাজী পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ডিজিএম সনৎ কুমার ঘোষের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে তিনি আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আমাকে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। সংযোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করলে তিনি আমাকে স্ট্যাম্প নিয়ে আসতে বলে তাড়িয়ে দেন।’

ডিজিএম সনৎ কুমার ঘোষ বলেন, ‘স্যার সম্বোধন না করায় লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে এটা ডাহা মিথ্যা কথা। ওই দিন রাতে আমাদের একটি সংযোগে ত্রুটি ধরা পড়ে। পরে পল্লীবিদ্যুতের লোকজন সেখানে গাছের ডাল কাটতে গেলে তার সঙ্গে বাগ্বিত-া হয়। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে আমরা তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগের পর গ্রাহককে ডেকে এনে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।’

গ্রাহক সেলিম বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি জানতে পেরে ডিজিএম সাহেব স্থানীয় সাংবাদিকের মাধ্যমে আমাকে অফিসে ডেকে নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। আমিও অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য ভুল স্বীকার করি। পরে অফিসে ফি জমা দিয়ে আবেদন করার পর তারা আবার বিদ্যুতের সংযোগ দিয়েছে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতেই হবে - dainik shiksha তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতেই হবে ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী আবাসিক হোটেলে শিক্ষার্থীদের অভিযান, হামলা - dainik shiksha আবাসিক হোটেলে শিক্ষার্থীদের অভিযান, হামলা শিক্ষকের ছোড়া স্কেলের আঘাতে শিক্ষার্থীর চোখ হারানোর অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষকের ছোড়া স্কেলের আঘাতে শিক্ষার্থীর চোখ হারানোর অভিযোগ ছাত্রলীগের মতো কলুষিত রাজনীতি করবে না ছাত্রদল - dainik shiksha ছাত্রলীগের মতো কলুষিত রাজনীতি করবে না ছাত্রদল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026638507843018