‘৮৫ শতাংশ অ্যাসাইনমেন্ট জমা, শিক্ষার্থীরা শুধু নম্বরের জন্য পড়াশোনা করে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক |

৮৫ শতাংশ অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি কারন তিনি। তিনি বলেন গত বছর যে অ্যসাইনমেন্টগুলো জমা দিয়েছে তা অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এই শিখন কার্যক্রমের অংশগ্রহণ করেছে। 

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আরো দাবি করেন, শিক্ষার্থীরা কেবল নম্বার ও প্রমোশনের জন্য লেখাপড়া করে এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। অ্যাসাইনমেন্ট অব্যাহত থাকবে। 

এর আগে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে তিনটি করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে বলা হয়। ষষ্ঠ থেকে নবমম শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অ্যাসাইনমেন্টে অংশগ্রহণ করতে হবে। অ্যাসাইনমেন্টের আওতায় ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন, সৃজনশীল প্রশ্ন, প্রতিবেদন প্রণয়ন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সাদা কাগজে নিজের হাতে লেখা অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এ–সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সপ্তাহের শুরুতে ওই সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্টগুলো দিয়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে নতুন কাজ বুঝে নেয়া হয়। অ্যাসাইনমেন্ট অভিভাবক বা অন্য কারও মাধ্যমে বা অনলাইনে জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্ধারিত বিষয়গুলোর প্রস্তাবিত অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়া, মূল্যায়ন করা, পরীক্ষকের মন্তব্যসহ শিক্ষার্থীদের তা দেখানো এবং প্রতিষ্ঠানে সেটি সংরক্ষণ করার কাজ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। এ ছাড়া ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অংশগ্রহণ করতে হবে।  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মূল্যায়নের সব রেকর্ড যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। 

অ্যাসাইনমেন্টের আওতায় ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন, সৃজনশীল প্রশ্ন, প্রতিবেদন প্রণয়ন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এটি সাদা কাগজে নিজের হাতে লিখে জমা দিতে হবে। অভিভাবক বা তার প্রতিনিধি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতি সপ্তাহে এক দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করবে এবং তা জামা দেবে।

শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত মাধ্যমিকের ক্লাস হওয়ার পর কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের নির্ধারিত পাঠ্যসূচি পড়ানো সম্ভব হয়নি। তাই চলতি বছরের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্ত করে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, দেশের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে পড়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি ছেলেমেয়ে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সোয়া কোটির কিছু বেশি। বাকিরা অন্যান্য স্তরে পড়ছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002392053604126