অচলাবস্থা কাটছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের অচলাবস্থা আংশিক কেটে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠকের পর আদালত বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা। তবে যে দুই বিচারকের অপসারণের দাবি উঠেছে, তাদের আদালতে আইনজীবীরা যাবেন না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল জানান, আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে আইনজীবীরা আদালতে যাবেন। তবে জেলা ও দায়রা

জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বদলির আগ পর্যন্ত তাদের আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে। আজ শনিবার আইনজীবী সমিতি সাধারণ সভা করে আন্দোলন প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আইনজীবী জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসেন জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা। বৈঠক চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। বৈঠকে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুন নূর দুলালও উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ পায়। তাতে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে কয়েকজন আইনজীবী এজলাসে বসা বিচারককে গালিগালাজ করছেন। এ ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির তিন সদস্যকে হাইকোর্ট সশরীরে তলব করা হয়। তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূইয়া, সমিতির সম্পাদক (প্রশাসন) মো. আক্কাস আলী এবং আইনজীবী জুবায়ের ইসলাম।

অন্যদিকে আইনজীবীদের ভাষ্য, গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এ মামলা করতে যান কয়েক আইনজীবী।

কিন্তু বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ১ জানুয়ারি থেকে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন আইনজীবীরা। আবার বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারীরা। এ অবস্থায় জেলা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে আইনজীবীরা আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038580894470215