সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত দুই প্রস্তাবনার স্মারকলিপিসহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব মো: সোহরাব হোসাইনের সাথে আজ দুপুরে সাক্ষাত করতে যাচ্ছেন অনশনরত ননএমপিও শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল। রোববার (৮ জুলাই) ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ১ জুলাই দিকে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভুষণ রায় এবং সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত এ প্রস্তাবনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ ওয়াহিদা আক্তার এটি গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ১০ জুন থেকে প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান করে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সরকার থেকে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় ২৫ জুন থেকে তাঁরা আমরণ অনশন করে আসছেন।
বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক কর্মচারী আছেন প্রায় ৫ লাখ। তাদের বেতন-ভাতা বাবদ মাসে খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা। এর বাইরে স্বীকৃতি পাওয়া ননএমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি। এগুলোতে শিক্ষক কর্মচারী আছেন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। স্বীকৃতির বাইরে আছে ২ হাজারেরও বেশি ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রমতে, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হলে এবং ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করলে মাসে আরও প্রায় দেড়শ কোটি টাকা খরচ হবে। যদিও সরকারের পরিকল্পনা হলো হাজারখানেক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা।