অপরাধে সক্রিয় ১২ কিশোর গ্রুপ

মোশতাক আহমেদ ও সাদ্দাম হোসাইন |

রাজধানী এবং এর আশপাশে কিশোর-তরুণদের ১২টি গ্রুপ মেয়েদের উত্ত্যক্তকরণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ করছে। বিভিন্ন নামে গড়ে ওঠা এলাকাভিত্তিক এসব গ্রুপ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আশপাশের এলাকায় সক্রিয়। এসব গ্রুপে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অছাত্ররাও রয়েছে।

ঢাকা ও আশপাশের আটটি এলাকা ঘুরে এমন ১২টি গ্রুপের খোঁজ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আটটিতে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বা তার সহযোগী সংগঠনের আশ্রয়-প্রশ্রয় রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার করা এক গোপনীয় প্রতিবেদনেও এসব গ্রুপ এবং তাদের অপরাধের কথা উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে এই ১২টিসহ সারা দেশে কিশোর অপরাধীদের মোট ৩৫টি গ্রুপের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ও আশপাশের ১৫টি গ্রুপ রয়েছে।

অনুসন্ধান ও সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা শহর এবং এর আশপাশের ১৫টি গ্রুপের মধ্যে উত্তরায় পাঁচটি, ধানমন্ডিতে তিনটি, তেজগাঁওয়ে দুটি এবং কাফরুল, মোহাম্মদপুর, তুরাগ, নিউমার্কেট ও গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায় একটি করে গ্রুপ আছে। প্রতিটি গ্রুপের সদস্য ৮ থেকে ১০ জন।

সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরা ও তেজগাঁওয়ে দুই কিশোর আদনান কবির ও আল আমিন খুনের পর কিশোর অপরাধের বিষয়টি আলোচনায় আসে। সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে শিগগিরই এ ধরনের গ্রুপের সংখ্যা বাড়তে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব গ্রুপের সদস্যরা পড়াশোনা থেকে দিনে দিনে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২৮ মার্চ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলেছে। পাশাপাশি পুলিশের মহাপরিদর্শক, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এসবি) ও র‍্যাবের মহাপরিচালককেও এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গোপনীয়) মো. মনিরুজ্জামান  বলেন, এ বিষয়টি তাঁরা তদন্ত করে দেখছেন।

জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদনটি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

কাফরুলে নয়ন গ্রুপ, ভাঙচুর ছিনতাইয়ের অভিযোগ

কাফরুলের ইব্রাহিমপুর এলাকার ‘নয়ন গ্রুপ’–এর সদস্য ৮-১০ জন। সরেজমিনে জানা গেছে, তারা সবাই মিরপুর এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র। বয়স ১৬ থেকে ১৮। তারা স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গোয়ালবাড়ী মোড়ের পাশের একটি ক্লাবে তারা আড্ডা দেয়।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের আচরণে ঔদ্ধত্য রয়েছে। প্রায়ই তারা দলবদ্ধ হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। ধূমপানের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে তাদের মাদক সেবন করতেও দেখা যায়।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রুপটি কাফরুল থানার সামনের রাস্তা, ইব্রাহিমপুর স্টাফ কোয়ার্টার ও গোয়ালবাড়ী এলাকায় উত্ত্যক্তকরণ, মাদক সেবন, মোটরসাইকেলে উচ্চ স্বরে হর্ন বাজিয়ে ভয়ভীতি দেখানো, ভাঙচুর ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িত।

৮ এপ্রিল এই গ্রুপের নেতা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলে, সবার মোটরসাইকেল না থাকায় দলগতভাবে ঘুরে বেড়ানোর প্রশ্নই আসে না। তার দাবি, তারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রতিপক্ষের কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের হেয় করতে এসব রটিয়েছে।

নিউমার্কেট এলাকায় মিশন গ্রুপ

নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় ‘মিশন গ্রুপ’–এর সদস্যদের মধ্যে ঢাকা কলেজের ছাত্র হারুনুর রশিদ খান ও মইনুল ইসলাম, আইডিয়াল কলেজের জাহিদ রয়েছেন। এই গ্রুপের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে, এই গ্রুপের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক (বর্তমানে কমিটি স্থগিত) জামাল উদ্দিনের নাম উল্লেখ রয়েছে।

জামাল উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে  বলেন, নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও (ওসি) তাঁর কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। তিনি ওসিকে বলেছেন, যদি এসব অপরাধ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। তাঁর ধারণা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হয়তো উদ্দেশ্যমূলকভাবে এভাবে নাম দিয়ে থাকতে পারে।

মোহাম্মদপুরে ‘পঁচিশ গ্রুপ’, অভিযোগ মাদক ব্যবসার

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় ‘পঁচিশ গ্রুপ’–এর সদস্যসংখ্যা অন্তত ১০। এরা মাদক বিক্রয়সহ বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়ায়। এই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে আরিফ হোসেন, তাজুল ইসলাম, রুবেল, এনামুল হক, শামছুল হক। এরা ছাত্রলীগ নামধারী।

১৩ এপ্রিল জেনেভা ক্যাম্পে সরেজমিনে গেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বাসিন্দা  বলেন, এখানে কয়েকজন মাদক বেচাকেনা করে। তবে তিনি তাদের নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, এই গ্রুপের সদস্যদের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আদালতে মামলা আছে।

ধানমন্ডিতে তিন গ্রুপ, অভিযোগ বিস্তর

এই এলাকায় ‘নাইন এম এম’, ‘একে ৪৭’ ও ‘ফাইভ স্টার’ নামে তিনটি গ্রুপ রয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, ধানমন্ডির ৯-এ এলাকায় নাইন এম এম গ্রুপের নেতা ইসমাইল হোসেন। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহসভাপতি। ধানমন্ডি ৭-এ এলাকায় আছে ‘একে ৪৭’ নামে গ্রুপটি। এর নেতৃত্বে আছেন মুকুল শিকদার। প্রতিবেদনে তাঁকে ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বলা হয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, মুকুল শিকদার সংগঠনটির সদ্য বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ফাইভ স্টার গ্রুপের কার্যক্রম রবীন্দ্রসরোবর এলাকাকেন্দ্রিক। প্রতিবেদনে এই গ্রুপের নেতা হিসেবে ইট্টু বলা হলেও তাঁর প্রকৃত নাম ইন্তু। তিনি ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের কর্মী।

এই তিন গ্রুপের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ফেনসিডিল ও ইয়াবার ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে গেলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে। একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, হাজারীবাগ ট্যানারি মোড়, ধানমন্ডি ৯/এ, ৮/এ এলাকায়, মুকুল শিকদারের গ্রুপ কলাবাগান এলাকায় এবং ইন্তুর গ্রুপ রবীন্দ্রসরোবর এলাকায় আড্ডা দেয়।

স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে  বলেন, ধানমন্ডি এলাকায় ছিনতাই-চাঁদাবাজির অধিকাংশ ঘটনাই ঘটে এই তিন গ্রুপের নেতৃত্বে। কিছুদিন আগে ধানমন্ডি ৮/এ এলাকায় একটি বিরিয়ানির দোকানে চুরি এবং ৯/এ-তে মুঠোফোন ছিনতাইয়েও ইসমাইল জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুকুল শিকদার  বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে কেউ এ ধরনের অভিযোগ করেছে। এগুলো সত্য নয়। তাঁর নেতৃত্বে কোনো গ্রুপ নেই।

জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনটি থানায় এসেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

তেজগাঁওয়ে মাইন উদ্দিন ও উজ্জ্বল গ্রুপ, এক কিশোর খুন

তেজগাঁও রেলওয়ে কলোনি ও কুনিপাড়া খেলার মাঠকেন্দ্রিক ১০-১২ জনের একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন মাইন উদ্দিন। তিনি স্থানীয় যুবলীগের কর্মী। এই গ্রুপের বিরুদ্ধে ছিনতাই, সন্ত্রাস, ভাড়াটে গুন্ডামি করার অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তেজকুনিপাড়া পোস্ট অফিস মোড়ে এই গ্রুপ আড্ডা দেয়। এই এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকেও চাঁদার ভাগ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মাইন উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

গত জানুয়ারিতে তেজগাঁও থানাধীন তেজকুনিপাড়া খেলাঘর মাঠের পাশে কিশোরদের একটি গ্রুপের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে আল-আমিন নামের এক কিশোর মারা যায়। আল-আমিনকে হত্যার অভিযোগে তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই তিনজনই মাইন উদ্দিন গ্রুপের সদস্য।

একই এলাকায় উজ্জ্বল গ্রুপের সদস্যসংখ্যা ৮ থেকে ১০। তাদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে।

এই দুই গ্রুপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।

উত্তরা ও তুরাগে ছয় গ্রুপ

তুরাগ থানার অধীন পাকুরিয়া, আহালিয়া, বাউনিয়া ও দলিপাড়া এলাকায় ১৫ জনের একটি গ্রুপ আছে। এই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে আছে মো. রাজু, গিট্টু ইমন, ককটেল গাজী, হানিফ, চায়নিজ সোহান, পলিথিন বাবু প্রমুখ। এলাকায় চুরি, ছিনতাই, মাদক (ইয়াবা), উত্ত্যক্তকরণসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তাদের ‘তালাচাবি গ্রুপ’ বলা হয়েছে। রাজনৈতিক আশ্রয় ও অর্থের মাধ্যমে তারা এসব ‘অপকর্ম’ করে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তরায় ‘পাওয়ার বয়েজ’ ও ‘নাইন এম এম বয়েজ’সহ পাঁচটি গ্রুপ আছে। এর মধ্যে ‘ডিসকো বয়েজ’ ও ‘বিগ বস’ গ্রুপের দ্বন্দ্বে গত জানুয়ারিতে খুন হয় স্কুলছাত্র আদনান কবীর। ওই এলাকায় ‘নাইন স্টার’ নামে আরেকটি গ্রুপ আছে।

অনুসন্ধানেও ‘ডিসকো বয়েজ’, ‘বিগ বস’ ও ‘তালাচাবি’ গ্রুপের অপরাধের কথা জানা গেছে।

গাজীপুরে সিয়াম গ্রুপের মারামারি

অনুসন্ধান ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ঢাকার বাইরে গাজীপুরে সিয়াম গ্রুপের নাম পাওয়া গেছে। এই গ্রুপের সদস্য ১২ থেকে ১৩ জন।

সরেজমিন ঘুরে গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গত বছরের আগস্টে জয়দেবপুর রানী বিলাসমণি সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় সাজ্জাদ হোসেন (১৯), তুহিন (২০), সালমান (১৮), মো. হাসান (২০), তন্ময় (১৯), আমজাদ হোসেনসহ (২০) ১০–১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। তাঁরা সিয়াম গ্রুপের সদস্য বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুপারিশ

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য অপরাধী গ্রুপের নেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া মাদক ও জঙ্গিবাদের কুফল সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা, শ্রেণিকক্ষে পাঠ্যসূচির বাইরে সামাজিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেওয়া, শহর এলাকায় বিভিন্ন মহল্লায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও প্রশাসনের সমন্বয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

বিভিন্ন এলাকায় ঘোরার সময় কিশোর অপরাধের পেছনে বেশ কিছু কারণ এই দুই প্রতিবেদকের পর্যবেক্ষণে এসেছে। শহরাঞ্চলের একদিকে খেলাধুলার সুযোগ কম, অনেক বাবা-মা সন্তানকে পর্যাপ্ত সময়ও দিতে পারেন না। এতে অনেক সন্তান বখে যায়। আবার অনেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় অপরাধের চক্রে আবদ্ধ হয়। এ ছাড়া মাদক, ইন্টারনেটের অপব্যবহার ও ‘হিরোইজম’ থেকেও অপরাধে জড়াচ্ছে কিশোর-তরুণেরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নেহাল করিম বলেন, কিশোরদের অপরাধে জড়ানোর প্রথম কারণ হলো পরিবারের নজরদারির অভাব। ছোট ছোট অপরাধ থেকে কিশোরেরা ধীরে ধীরে বড় অপরাধে জড়ায়। এ ধরনের অপরাধ সমাজ থেকে একেবারে নির্মূল করা যাবে না। তবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

সৌজন্যে: প্রথম আলো


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028998851776123