অবশেষে ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে নন-ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা প্রার্থীদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে ৪৫০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও প্রথম দফায় ২৮৯ জন নিয়োগ পেয়েছেন।
এ বিষয়ে ৩০ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগপ্রাপ্তদের দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পদায়নও করা হয়েছে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ওই সব বিদ্যালয়ে যোগদান করতে হবে। এই সময়ে যোগ না দিলে নিয়োগপত্র বাতিল হবে। নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে (দ্বিতীয় শ্রেণি) বেতন পাবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ৪৫০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৩৬ জন। বাকিদের হয়তো এ চাকরিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা নেই। আর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত পুলিশি যাচাই প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ২৮৯ জনের। তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) চৌধুরী মুফাদ আহমেদ গত বুধবার বলেছিলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকসংকট থাকায় যাঁদের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, তাঁদেরই নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকিদের প্রতিবেদন পাওয়া গেলেই নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে পরে যাঁরা নিয়োগ পাবেন, তাঁদের জ্যেষ্ঠতায় সমস্যা হবে না। পিএসসির করা মেধাতালিকা অনুযায়ীই জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে।
সারা দেশে ৩৩৮টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (গত বুধবার আরও ১০টি স্কুল সরকারি হয়েছে) সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ আছে ১০ হাজারের বেশি। কিন্তু দুই হাজারের বেশি পদ শূন্য। আবার প্রতিনিয়তই কিছুসংখ্যক শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন। এ কারণে পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু নিয়োগবিধি-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ২০১২ সালের পর থেকে এসব পদে আর নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছিল না। এই সংকট কাটাতে গত বছরের আগস্টে ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার পদ পাননি (নন-ক্যাডার), এমন ৪৫০ জনকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল পিএসসি। কিন্তু পুলিশি যাচাই প্রতিবেদন না পাওয়ায় তা আটকে ছিল।