কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে সরব হয়েছে ছাত্রসংগঠনগুলো।বিক্ষোভ সমাবেশ, মশাল মিছিল ও বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে শাখা ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী, ছাত্রদল ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল কর্তৃপক্ষ ও শাখা ছাত্রলীগ পৃথক তিনটি কমিটি গঠন করেছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শাখা ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। এরআগে বিবৃতি দিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।
সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মাসুম রুমি মিথুনের নেতৃত্বে মিছিলে যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, শাখা ছাত্র মৈত্রী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বিবৃতিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের যথাযথ শাস্তি দাবি জানায় ছাত্রমৈত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক প্রতীক কুমার গুণ ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আমিন এক যৌথ বিবৃতি দেন। তারা বলেন, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে হলের দখলদারিত্ব, সিট বাণিজ্য বন্ধসহ ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানায় সংগঠনটি।
এদিকে অভিযুক্ত দুই ছাত্রীকে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, আমরা এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। দলীয় কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও ৭-৮ জন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। ঘটনা তদন্তে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।