একাডেমিয়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজধানীর একাডেমিয়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের কারণে বিপাকে পড়েছে অভিভাবকরা। এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করেও সমাধান না পেয়ে সন্তানের পড়াশোনা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন অনেকে। এজন্য দ্রুত শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ফি কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

অভিভাবকদের অভিযোগ, সরকারি আইন বা রুলস না থাকা সত্ত্বেও ভর্তি নবায়ন ফি চাওয়া হয়েছিল। তবে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে এই ফি নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এর পরিপেক্ষিতে বিভিন্ন ফি ধরে শিক্ষার্থীদের স্কুলের মাসিক বেতন বাড়িয়ে কৌশলে আদায় করা হচ্ছে ভর্তি নবায়ন ফি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, তার দুই সন্তান একাডেমিয়া স্কুলে ১ম শ্রেণী ও ৭ম শ্রেণীতে পড়ছে। ভর্তি নবায়ন ফি না নেয়া হলেও সাংস্কৃতিক ফিসহ বিভিন্ন অন্যান্য ফি ধরে মাসিক বেতনের সাথে আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে। প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের বেতন বাড়ানো হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য একটি ধাক্কা হয়ে যায়। এজন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ে সন্তানের পড়াশোনা খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কয়েকজন অভিভাবকরা জানান, শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। তাদের মতে, এ হিসেবে বছরে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ত্রিশ হাজারের বেশি নেয়া হচ্ছে। যা ভর্তি নবায়ন ফি থেকেও অনেক বেশি।

স্কুল সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত ফি কমানোর জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই অভিভাবকরা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করছেন। তারা একাধিকবার প্রধান শিক্ষকের সাথেও কথা বলছেন। তিনি আশ্বাস দিলেও এখনও কোন সমাধান পাননি অভিভাবকরা। এ বিষয়ে আগামী শনিবারও কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সাথে বসে সিদ্ধান্তের বিষয় জানানোর কথা রয়েছে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তহীনতায় সন্তানের পড়াশোনা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন অনেক অভিভাবক।

উল্লেখ্য, মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় অবস্থিত (সাত মসজিদ রোডস্থ বাড়ি-৬/১০, বস্নক-এফ) ‘একাডেমিয়া’ সম্পূর্ণ ইংলিশ মিডিয়াম একটি স্কুল। এখানে পে-গ্রুপ থেকে ‘এ’ লেভেল পর্যন্ত অঙ্ফোর্ড কারিকুলাম ভিত্তিতে পড়ানো হয়। এছাড়াও স্কুলটির ধানমন্ডির ৯/এ রোডে আরেকটি ব্রাঞ্চ রয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0022652149200439