কলারোয়ায় নতুন কৌশলে চলছে কোচিং বাণিজ্য

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি |

কলারোয়ায় সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভিন্ন কৌশলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। সকালে ও বিকেলে ব্যাচ ভিত্তিক আবার কিছু শিক্ষক বাসায় যেয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াচ্ছেন এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার একাধিক অবিভাবক। তাদের দাবি কোচিং বন্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে এসব শিক্ষকরাও কৌশল পরিবর্তন করে কোচিং বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছেন।

খোঁজনিয়ে জানা গেছে, সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং পড়ানো বন্ধের কঠোর নির্দেশনা দেয়ার পর কোচিং বাণিজ্যরত শিক্ষকরাও কৌশল পরিবর্তন করেছে। আর নতুন কৌশল হিসেবে তারা উপজেলার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে নিরাপদে কোচিং বাণিজ্যের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন বিভিন্ন ঘরে প্রকাশ্যে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতেন। বর্তমানে সরকারের কঠোরতার কারণে এসব শিক্ষকরা এখন কলারোয়া পৌর সদরসহ উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে এ কৌশল অবলম্বন করে কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানোর কাজ চালাচ্ছেন। অপরদিকে সাইনবোর্ড লাগানো ঘর গুলি বন্ধ থাকায় কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে না এমন দাবি করে সাধারণ মানুষসহ সংশ্লিষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের সহজে ফাকি দিতে পারছে কোচিং বাণিজ্যে লিপ্ত থাকা এসব শিক্ষকরা।

উপজেলার একাধিক অবিভাবক ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, বর্তমানে কলারোয়া পৌর সদরের ঝিকরা, সরকারি কলেজের পাশে, গদখালী, কলারোয়া পৌরভবনের পেছনে, ভুমি অফিসের পিছনে, হাসপাতাল রোড এলাকা, পুরাতন খাদ্য গুদাম সংলগ্ন, তুলশীডাঙ্গা এলাকার কয়েকটি স্থানসহ আবাসিক ও ঘনবসতি এলাকার মধ্যে বাসা ভাড়া নিয়ে অবাধে নিজ ও অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকেও ব্যাচ ভিত্তিক কোচিং এ পড়াচ্ছেন এসব শিক্ষকরা। এছাড়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া, বামনখালী, সরসকাটি, হিজলদীসহ কয়েকটি স্থানে শিক্ষকরা নিয়মিত কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সোনাবাড়িয়া এলাকায় প্রকাশ্যে কোচিং বাণিজ্য চলছে বলে জানান শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। তারা আরো বলেন, নতুন কৌশলে এসব কোচিং এ প্রতি ব্যাচে ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে পড়ানো হচ্ছে। আর শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৬’শ টাকা থেকে ৮’শ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন কোচিং এ পড়ানো শিক্ষকরা।

শিক্ষার্থীদের অবিভাবকরা আরো বলেন, সকাল ৬টা থেকে শুরু করে (স্কুল চলাকালীন সময় ব্যতিত) সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কোচিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ের শিক্ষকরা একই পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। এসব অবিভাবকদের দাবি শিক্ষকদের কোচিং পড়ানোর বিষয়ে সরকারের কঠোর নীতিমালা থাকলেও উপজেলা পর্যায় থেকে সঠিক মনিটরিং না থাকায় ভিন্ন কৌশল পরিবর্তন করে এসব শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অবিলম্বে আইন অমান্যকারি এসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তারা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা - dainik shiksha ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ - dainik shiksha কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029199123382568