কলেজছাত্রীকে অপহরণ চেষ্টা, বাধা দেওয়ায় চাচাকে মারধর

বরগুনা প্রতিনিধি |

বরগুনার পাথরঘাটায় একাদশ শ্রেণির এক কলেজ ছাত্রীকে (১৬) মুখে ও গলায় গামছা বেঁধে ইমরান সিকদার, আউয়াল ও মামুন খান নামের তিন বখাটের বিরুদ্ধে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এসময় ওই কলেজ ছাত্রীর চাচা শাহরুন মিয়া ও চাচি উর্মি বেগম তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করেন ওই বখাটেরা।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধায় উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য কালমেঘা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বখাটে আউয়াল মৃত নুর নবীর ছেলে, ইমরার সিকদার সোবহান সিকদারের ছেলে ও মামুন খান সেলিম খানের ছেলে। তাদের সকলে বাড়ি মধ্য কালমেঘা এলাকায়।

ওই ছাত্রী জানান, ২ বছর ধরে ইমরান নামের এক ছেলে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। বিষয়টি ছেলের বাবাকে জানালে তারা কোন কথা বলেন নাই। পরে ওই ছেলে কলেজে যাওয়ার পথ রোধ করে এবং ওড়না টেনে ধরে। আমি বাধা দিলে আমার ছবি তুলে এবং বলে তার সঙ্গে ইমরানের প্রেম করতে হবে, তা না হলে ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছেড়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।

ওই ছাত্রীর বাবা রুহুল আমিন জানান, শনিবার সকাল থেকেই আমি ও আমার স্ত্রী মাঠে কাজ করার জন্য যাই। সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে ফিরে আসলে আমার ছোট ভাইয়ের অন্ত:সত্তা স্ত্রীকে আহত অবস্থায় পরে থাকতে দেখি। আমার মেয়ের কথা জানতে চাইলে আমাকে বলেন আউয়াল, ইমরান সিকদার ও মামুন খান মেয়ের মুখে গামছা বেঁধে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান। এসময় আমি ও আমার ভাই মেয়েকে বাঁচাতে গেলে আউয়াল লোহার রড দিয়ে আমার ভাই শাহরুনের মাথা আঘাত করেন। আমার ভাইয়ের স্ত্রী উর্মির পেটে লাথি মারে। বর্তমানে তার অবস্থাও গুরুতর এবং ভাইয়ে মাথায় ১২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা বেশি গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এর আগেও একবার আমার মেয়েকে অপহরণ করতে চেয়েছিল। এ নিয়ে বরগুনা নারী ও শিশু দম ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি, বর্তমানে তা চলমান আছে। তার পরেও আমি আমার সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত আউয়াল ও মামুন খানের কাছে জানতে চাইলে তারা মারধরের কথা স্বীকার করে মুঠোফোনে জানান, তাদের সঙ্গে আমাদের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। সেই ঘটনা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। তবে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করেন তারা।

এ ঘটনায় পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার জানান, এরকম কোন ঘটনার বিষয়ে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028090476989746