অন্যান্য দলগুলোর করা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবির বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, এটা মহামান্য আদালত কতৃক নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এই ব্যবস্থাপনাকে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে অপব্যবহার করেছে। যে কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের অনেক ক্ষতি করেছে। যদি কোনো রকমে আবার এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ওপেন করা হয় তাহলে তার সুযোগে অনির্বাচিত সরকার আবার ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানের মতো করার সুযোগ রয়ে যাবে। এরকম কুমির ঢোকার কোনো ব্যবস্থা করা যাবে না।
সোমবার রাজধানীর শ্যামপুর ইকো পার্কে ‘নদীর প্রাণ আছে, তাকে বাচতে দাও’ শিরোনামে ফটো সাংবাদিক কাকলী প্রধানের ১০০ নদীর উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল, নির্বাচন করা তাদের দায়িত্ব। একটা রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচন না করে তাইলে তাদের রাজনীতি করার যৌক্তিকতা কোথায়। নির্বাচনে না আসলে ওই রাজনৈতিক দলকেই অভিযুক্ত করা উচিৎ। বাংলাদেশ ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে তখনতো বিএনপির জন্মও হয়নি। বাংলাদেশ তো স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সব দলের প্রতিই সরকারের আহ্বান থাকবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অংশগ্রহণ করার জন্য। আমাদের নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা আছে নির্বাচন আয়োজনের। তাদের নেতৃত্বে যথাসময়ে নির্বাচন হবে।
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নদী দূষণ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বসে এমন দূষণেরর অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম, এ দূষণের নিষ্পত্তি হওয়া উচিৎ। সারা পৃথিবীত জুড়েই নদীর তীরে ইন্ডাস্ট্রি আছে। নদী দূষণ না করে তারা নদীকে সংরক্ষণ করে প্ল্যান্ট অপারেট করা হয়।
নৌ ব্যবস্থার উপকারিতা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেসব দেশে নৌ পথ তেমন যৌক্তিকভাবে নেই সেসব দেশ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিকভাবে ভালো করতে পারে না। উজবেকিস্তানের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, উজবেকিস্তান একটা পোটেনশিয়াল কান্ট্রি কিন্ত নৌ ব্যবস্থা না থাকায় তারা ভালো করতে পারছে না। আমাদের এই সুযোগটা আছে, এটা নষ্ট করা উচিৎ হবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থপতি ও নগরবিদ ইকবাল হাবিব। বক্তৃতা শেষে মন্ত্রী বুড়িগঙ্গা নিদীর তীর প্রদর্শন করেন। এসময় স্থানীয় ও অন্যান্য দর্শনার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।