‘যদি কোনো মেয়ে দেখতে কুৎসিত হয় এবং তার যদি কোনো ত্রুটি থাকে, তবে তার বিয়ে কঠিন হয়ে পড়ে।’
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত দ্বাদশ শ্রেণির সমাজবিজ্ঞান বইয়ে এ কথা বলা হয়েছে। সেখানে মেয়েদের দেখতে কুৎসিত হওয়াকে যৌতুকের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়্যার’-এর প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
মহারাষ্ট্র রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু পুনর্জাগরণবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
সমাজবিজ্ঞান বইটির ওই অধ্যায়ে মত প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘ওই ধরনের মেয়েদের’ বিয়ের ক্ষেত্রে বরের পরিবার অনেক যৌতুক দাবি করে থাকে এবং এ ক্ষেত্রে মেয়ের মা-বাবা অসহায় হয়ে পড়েন ও যৌতুকের দাবি পূরণ করেন।
বইটির রচয়িতা ছয়জন। মহারাষ্ট্র রাজ্য বোর্ড বইটি প্রকাশ করেছে। ওই বইয়ে ‘ভারতের প্রধান সামাজিক সমস্যাগুলো’ অধ্যায়ে যৌতুক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া বইটিতে লিঙ্গবৈষম্য, পারিবারিক সহিংসতা, কৃষকের আত্মহত্যাসহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে।
‘দ্য ওয়্যার’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যৌতুক নিয়ে আলোচনা করা অধ্যায়টিতে ‘সামাজিক মর্যাদা’, ‘বরের প্রত্যাশা’, ‘ক্ষতিপূরণ নীতি’সহ যৌতুক সমস্যার ১২টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এই কারণগুলো ভারতের প্রতিষ্ঠিত সমাজ ব্যবস্থার অংশ এবং বইটিতে এর সমালোচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। যেমন সামাজিক মর্যাদা শিরোনামের অধ্যায়ে বলা হয়েছে, যৌতুক ‘সামাজিক মর্যাদার প্রতীক’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বইটিতে বলা হয়েছে, যত বেশি যৌতুক দেওয়া হয়, একটি পরিবারের সামাজিক মর্যাদা তত বেশি রয়েছে।