চলতি বছরেই সরকারিকৃত ৩০২টি কলেজের শিক্ষকদের অ্যাডহক নিয়োগে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদ (বাসকশিপ-জাকশিপ) নেতারা। একইসাথে পদসৃজনের কাগজপত্র যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া যতটা সম্ভব সহজ করে বৈধ নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের অতিদ্রুত পদসৃজনের দাবি জানান তাঁরা। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বন্দরনগরী চট্রগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত বাসকশিপ-জাকশিপের চট্রগ্রাম বিভাগীয় সম্মেলনে এ দাবি জানান শিক্ষক নেতারা।
সরকারিকৃত ৩০২ কলেজের শিক্ষকদের দ্রুত পদসৃজন ও চলতি বছরেই শিক্ষক-কর্মচারীদের অ্যাডহক নিয়োগের দাবিতে বাসকশিপ-জাকশিপের চট্রগ্রাম বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। বাসকশিপ-জাকশিপের চট্টগ্রাম বিভাগীয় আহ্বায়ক মোসলে উদ্দিন সিরাজির সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি কে এম দেলোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মৃধা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদস্য সচিব এরশাদুল মোস্তফা, ইফতেখার হোসেন, রাঙ্গুনিয়া কলেজের অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ, কর্ণফুলি সরকারি কলেজের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক বিপুল কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সভাপতি কে এম দেলোয়ার হোসেন সরকারিকৃত ৩০২ কলেজের পদসৃজনের কাগজপত্র যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া যতটা সম্ভব সহজ করে বৈধভাবে নিয়োগকৃত সব শিক্ষকদের অতিদ্রুত পদসৃজন ও চলতি বছরের মধ্যেই তাদের আডহক নিয়োগের দাবি জানান।
সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মৃধা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে ৩০২টি সরকারি কলেজ উপহার দিয়েছেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় শিক্ষক কর্মচারীদের আত্তীকরণ দেরি হচ্ছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণের কাগজপত্র বারবার যাছাইয়ের নামে কাজে বিলম্ব করা হচ্ছে। সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপনন জারির ১বছর পার হলেও এখনো কলেজগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের পদসৃজন করে অ্যাডহক নিয়োগের কাজ সম্পন্ন হয়নি। তাই, পদসৃজনের কাজে গতি এনে এ সব কলেজের শিক্ষক কর্মচারDদের দ্রুত পদসৃজন ও অ্যাডহক নিয়োগের দাবি জানান তিনি।
কর্ণফুলি সরকারি কলেজের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক বিপুল কান্তি বড়ুয়া বলেন, কলেজকে এই পর্যায়ে আনতে অনেক কষ্ট করেছি। সরকারিকরণের কাজে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছি। কিন্ত আজ আত্তীকরণের কাজে ধীরগতির জন্য সরকারি সুবিধা ছাড়াই শুন্য হাতে অবসরে চলে যাচ্ছি। এভাবে অবসরে যাওয়ার বেদনা বোঝানোর ভাষা নেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন আমার মতো আর যেন কাউকে এভাবে বিদায় নিতে না হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি শামছুল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান, টি আই এম কামরুল আলম, সহ-সভাপতি খায়রুল আনাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন ভুইয়া, যগ্ম সম্পাদক মো. মানিক মিয়া, শুসান্ত কুমার, কোষাধ্যক্ষ ফজলুল হক প্রমুখ।