ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে একটি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অশ্লীল ছবি তোলা, অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদ এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর সহপাঠী এবং এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কোঠাপাড়া বসভাঙ্গা বসন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানান তারা।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মুক্তারুল ইসলাম মুক্তা। তিনি বসভাঙ্গা বসন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা, সহপাঠী এবং এলাকাবাসী অভিযোগ তুলে বলেন, শিক্ষক মুক্তারুল ইসলাম মুক্তা দীর্ঘদিন ধরেই ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে পড়াতেন। বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনি ভুক্তভোগী ছাত্রীকে অপহরণ করে অশ্লীল ছবি তোলেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তারা আরো অভিযোগ করেন, এর আগেও তিনি ওই বিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছেন। ওই ছাত্রীদের পরিবার মান সম্মানের ভয়ে মুখ খোলেনি। এখন তিনি মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ মানুষ শিক্ষক হিসেবে বহাল থাকতে পারেন না বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। তারা ওই শিক্ষককে দ্রুত আইনের আওতায় এনে তার শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক মুক্তারুল ইসলাম মুক্তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এ নারী ফোন রিসিভ করে নিজেকে তার স্ত্রী তামান্না অক্তার লাকী বলে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, মুক্তারুল ইসলাম বাসায় নেই এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক। এলাকার এবং বিদ্যালয়ের একটি কুচক্রি মহল তাকে ফাঁসানোর জন্যই এসব করছে।