টাইমস্কেলধারী শিক্ষকদের ন্যায্য বিএড স্কেল প্রাপ্তি অন্ধকারে! 

আতাউর রহমান |

বিএড স্কেল শিক্ষকদের নায্য পাওনা হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-মাদ্রাসার প্রবীণ সহকারী শিক্ষকরা এই স্কেল পাচ্ছেন না। টাইমস্কেল প্রাপ্তির পরবর্তী সময়কালে বিএড পাশ করায় তা অবহেলিত হয়ে পড়েছে। শিক্ষকতা জীবনে বিএড প্রশিক্ষণ অত্যাবশ্যক। বিএড প্রশিক্ষণ আগে না পিছে তা মূল বিষয় হতে পারে না। বিএড স্কেল শেষে টাইমস্কেল পাওয়া যায়; আর টাইমস্কেল শেষে বিএড স্কেল পাওয়া যাবে না- এমন স্ববিরোধী প্রথা হাস্যকর বিষয় ছাড়া আর কিছুই নয়।

এদিকে কোন পরিপত্রের প্রমাণপত্র ছাড়াই মোখিকভাবে টাইমস্কেলধারী শিক্ষকদেরকে বিএড স্কেলের জন্য অনলাইনে করা শিক্ষকদের আবেদন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গ্রহণ করছেন না। এতে বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা চরম হতাশায় ভুগছেন। এতে করে তারা আর্থিক ও মর্যাদাগত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকরা বিএড স্কেল প্রাপ্তির আট বছর পর টাইম স্কেল পেয়ে থাকেন। কিন্তু টাইমস্কেল পরবর্তী বিএড পাশধারীদের বিএড স্কেল কেন দেয়া যাবে না, তা বোধগম্য নয়। যা পুরো চাকরি জীবনে শিক্ষকরা একবার মাত্র পেয়ে থাকেন।

চাকরির নিয়ম অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকরা বিএড স্কেল ও টাইমস্কেল পাওয়ার কথা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা উপেক্ষিত হচ্ছে। অথচ নীতিমালায় শিক্ষকদের আবেদন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা ও জেলা শিক্ষা অফিসার যাচাই-বাছাই ও অনুমোদন দিয়ে অনলাইনে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের নিকট আবেদন পাঠান। আঞ্চলিক পরিচালকরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) পাঠিয়ে দেয়ার কথা।

কিন্তু টাইম স্কেল প্রাপ্তি পরবর্তী বিএড পাশধারী শিক্ষকরা বিএড স্কেল পাওয়া নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। এর ভবিষ্যত নিয়ে দায়িত্বশীল কারও কাছ থেকে কিছুই জানা না যাওয়ায় শিক্ষকরা এ বিষয়ে রয়েছেন অন্ধকারে।

প্রবীণ ও নবীন শিক্ষকরা একই সাথে বিএড পাশ করলেও সাধারণ সহকারী শিক্ষকরা আবেদন করে বিএড স্কেল পেয়েছেন। কিন্তু টাইমস্কেল লাভের পরবর্তী সময়ে একই ব্যাচের বিএড পাশধারী প্রবীণ শিক্ষকদের বিএড আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না। প্রশ্ন হলো টাইমস্কেল গ্রহনকারীদের বিএড স্কেল না পাওয়ার যৌক্তিকতা বা কোথায়? ফলে দীর্ঘ ১৫-২০ বছর সময়ব্যাপী কর্মরত সিনিয়র শিক্ষকরা বিএড স্কেল না পাওয়ায় সহকারী শিক্ষকের চেয়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা কম পাচ্ছেন। যা মর্যাদা হানিসহ আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির স্থল বটে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নজর দিবেন কী?

লেখকঃ কলামিস্ট ও শিক্ষক, বিয়ানীবাজার, সিলেট।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী - dainik shiksha গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ - dainik shiksha আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032179355621338