ফিলিপাইনের পতাকাবাহী একটি ট্যাংকার এক হাজার ৪৯৪ মেট্রিক টন শিল্প জ্বালানী তেল (১৪ লাখ লিটার) নিয়ে ম্যানিলা উপসাগরে ডুবে গেছে। ট্যাংকারটি ডুবে যাওয়ার পর এখন সেটি থেকে সাগরে তেল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে তারা জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বলে ফিলিপাইনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এমটি টেরা নোভা নামের এই অয়েল ট্যাংকারটি আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোরে ফিলিপাইনের বাতান প্রদেশের লিমায় মিউনিসিপালিটি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে ম্যানিলা উপসাগরে ডুবে যায়। ব্যস্ততম এই জলপথে এর পরপরই তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে কয়েক কিলোমিটার এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে এমটি টেরা নোভার ১৭ জন ক্রু সদস্যের মধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দেশটির পরিবহন সচিব জেইম বাউটিস্তা বলেছেন। জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পর নিখোঁজ একজন নাবিকের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পরিবহন সচিব জেইম বাউটিস্তা পরিস্থিতির ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘ইতিমধ্যেই তেল ছড়িয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে, প্রবল বাতাস এবং ঢেউয়ের কারণে আমাদের উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
জাহাজটি এক হাজার ৪৯৪ মেট্রিক টন শিল্প জ্বালানী বহন করছিল বলে জানা গেছে। উদ্ধারকৃত ক্রুদের বিবরণ থেকে জানা গেছে জাহাজটি ডুবে যাওয়ার আগে সমুদ্রে খারাপ আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন।
ফিলিপাইনের কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র আরমান্দো বালিলো একটি পৃথক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, নিখোঁজ ক্রুর সন্ধান চালাতে এবং তেল ছড়িয়ে পড়া মোকাবেলায় একটি উপকূলরক্ষী জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। আরো কয়েকটি জাহাজ আবহাওয়া শান্ত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
এরপর তারা তাদের যাত্রা শুরু করবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপকূলরক্ষীদের করা একটি জরিপে দেখা গেছে, তেল প্রায় দুই নটিক্যাল মাইল ছড়িয়ে পড়েছে এবং শক্তিশালী ঢেউয়ের কারণে তা আরো ছড়িয়ে পড়ছে।’
বালিলো জানিয়েছেন, ‘আমরা সময়ের সঙ্গে দৌড়াচ্ছি। জ্বালানি তেল যেনো আরো ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
তিনি আরো যোগ করে বলেছেন, ‘জাহাজটি ম্যানিলার কাছে ডুবেছে এবং বড় ধরনের বিপদ রয়েছে যে, তেল রাজধানী পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
’ তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ট্যাঙ্কারের সব তেল যদি বের হয়ে যায় তবে এটি ফিলিপাইনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তেল লিকেজের ঘটনা ঘটবে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সূত্র : রয়টার্স