ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁদের দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। তবে অভিযুক্তরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। মারধরের অভিযোগ করা দুই শিক্ষার্থী হলেন অর্থনীতি বিভাগের রেহমান খালেদ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আরাফাত রহমান। অভিযুক্তরা হলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মিম্মুর সালিম ওরফে পরাগ এবং প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের সোপান কৌশিক। তাঁরা সবাই প্রথম বর্ষের (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) ছাত্র।
অভিযোগকারী রেহমান খালেদ ছাত্র ইউনিয়ন ও আরাফাত রহমান ছাত্রদলের কর্মী। তাঁরা অন্য হলে সংযুক্ত। তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁরা শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ফুটবল খেলতে গিয়েছিলেন। আতিক মোর্শেদ নামের এক বন্ধুর গ্রেপ্তার হওয়ার প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে খালেদের দেওয়া পুরোনো একটি পোস্ট ও মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সেখানে মিম্মুর ও সোপান আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে খালেদকে জেরা করতে থাকেন। একপর্যায়ে শুরু হয় মারধর। তখন আরাফাত খালেদকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। তাঁরা মারধরের ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত মিম্মুর ও সোপান ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জানতে চাইলে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন মিম্মুর সালিম ওরফে পরাগ। তিনি বলেন, ‘খালেদ ও আরাফাত আমাদের সহপাঠী বন্ধু। জহুরুল হক হলের পুকুরপাড়ে তাঁরা সিগারেট ধরিয়েছিলেন। তখন সেখানে আমাদের কিছু বড় ভাই গোসল করছিলেন। তাই তাঁদের সেখানে সিগারেট খেতে নিষেধ করি। আমরা তাঁদের কোনো মারধর করিনি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ঘটনাটি তাঁরা অবহিত হয়েছেন। হল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।