ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসিয়াল

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: সঠিক পরিচর্যার অভাব, অনিয়মিত জীবনযাপন আর রাস্তাঘাটের দূষণ ইত্যাদি ত্বকে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ফলে ত্বক হারায় স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। তবে নিয়মিত যত্ন আর পরিচর্যা ফিরিয়ে আনবে সৌন্দর্য। এসব যত্নের মধ্যে অন্যতম ফেসিয়াল। যা ত্বককে যেমন আরাম দেয় তেমনি করে তোলে সতেজ ও সজীব।

ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলেন, ত্বকের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী ফেসিয়াল নির্বাচন করা উচিত। ফেসিয়ালকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়- ১) মেডি ফেসিয়াল। ২) রিলাক্সিং বা আরামদায়ক ফেসিয়াল।

মেডি ফেসিয়াল : এটি মূলত মেডিকেল গ্রেড ফেসিয়াল, যা সাধারণ পারলার দিতে পারে না। ত্বকের নির্দিষ্ট অবস্থা বা ব্যাধি নিরাময়ে এই ফেসিয়ালগুলো করা হয়ে থাকে। প্রায় সব ধরনের ত্বকের জন্যই নিরাপদ। এগুলো সাধারণত প্রযুক্তি ও মেশিন দিয়ে সঞ্চালিত হয়। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে লেজার, মাইক্রোকারেন্টস, ডার্মাপ্ল্যানিং, ফটো রিজুভেনেইশন, এলইডি থেরাপি, পিলস বা বড়ি, মাইক্রোডার্মাব্রেইশন, হাই ইন্টেনসিটি ফোকাস্ড আল্ট্রাসাউন্ড এবং আরও অন্যান্য যন্ত্র ও কৌশল ব্যবহার করে মেডি ফেসিয়াল করা হয়। এগুলো ত্বকের সমস্যা যেমন- মলিন ত্বক, শুষ্ক ও ঢিলাভাব কমায়। ত্বক পুনর্গঠন করে। তারুণ্য, উজ্জ্বলতা এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। এ ছাড়াও রোদে পোড়া, পিগমেন্টেশন, বয়সের ছাপ, ব্রণের দাগ ইত্যাদির সমস্যা কমাতেও সহায়তা করে।

রিলাক্সিং ফেসিয়াল : এ ধরনের ফেসিয়াল সাধারণত স্যালন বা স্পা ক্লিনিকে হয়ে থাকে। এসব পদ্ধতি ত্বকে আরাম দেয় ও সতেজতা আনে। এ ফেসিয়ালে নানান রকম উপকরণ ও মাস্ক ব্যবহার করা হয় এবং এক্সফলিয়েশন নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর। যেমন- তৈলাক্ত ত্বকে এক্সফলিয়েটিং উপাদান এবং ক্লে মাস্ক ব্যবহার করা হয়, যেন বাড়তি তেল ও ময়লা শুষে নিতে পারে। শুষ্ক ও সংবেদনশীল ত্বকে কম মাত্রায় সক্রিয় উপাদান আরও মৃদু ও ত্বক পুনর্গঠনে কাজ করে। 


ফেসিয়ালের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সুস্থতা ও আর্দ্রতা লাভ করে। ২৮ থেকে ৪৮ দিনের মধ্যে কোষ পুনরায় সৃষ্টি হয়। ত্বকের জন্য উপযোগী ফেসিয়াল নির্বাচন করতে অভিজ্ঞ থেরাপিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে। ত্বক টানটান হওয়া, আর্দ্রতা বজায় থাকা, মন ভালো থাকা ও মানসিক চাপ হ্রাস, মৃত কোষ দূর করে মসৃণ ও কোমল ত্বক, প্রদাহ ও ব্যাকটেরিয়াবিরোধী উপকারিতা, বয়সের ছাপ হ্রাস পাওয়া, মসৃণ ত্বক, ব্যথা হ্রাস পায়।

তথ্যসূত্র : ভোগ ম্যাগাজিন


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আইনের মারপ্যাঁচে অনিশ্চিত ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন - dainik shiksha আইনের মারপ্যাঁচে অনিশ্চিত ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন ‘ঢাবির ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হচ্ছে শিগগিরই’ - dainik shiksha ‘ঢাবির ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হচ্ছে শিগগিরই’ হাই-টেক পার্কের নাম হবে জেলার নামে: উপদেষ্টা নাহিদ - dainik shiksha হাই-টেক পার্কের নাম হবে জেলার নামে: উপদেষ্টা নাহিদ দীপু মনির নামে আরেক মামলা, আসামি ৬০০ - dainik shiksha দীপু মনির নামে আরেক মামলা, আসামি ৬০০ স্কুল-কলেজে বিশৃঙ্খলা : কোথাও জবরদস্তি কোথাও পালিয়ে থাকা - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বিশৃঙ্খলা : কোথাও জবরদস্তি কোথাও পালিয়ে থাকা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047950744628906