দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ বছরের সনদের বৈধতার জন্য আদালতের আশ্রয় নেবে সনদপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, আদালতের মাধ্যমেই তারা ন্যায় বিচার পাবেন। ‘২০০৬ সালের পর থেকে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ অবৈধ’ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের এমন বক্তব্যে চাকরি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইউজিসির চেয়ারম্যান তার এ বক্তব্য আদালতের রায়েরই ব্যাখ্যা বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। মামুন খান নামে সনদপ্রাপ্ত এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী সনদ নিয়েছেন।
অনেকে এ প্রতিষ্ঠান থেকে অনার্স কোর্স করে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স কোর্স করেছেন। অনেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। এ মুহূর্তে গত ১০ বছরের সনদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় আমরা শঙ্কায় আছি।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ২০০৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে একজন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধানমন্ডি শাখাকে বৈধতা দিয়ে চিঠিও জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অথচ ২০১৬ সালে এসে নতুনভাবে এমন ঘোষণা আমাদের বিপাকে ফেলেছে।
হাজার হাজার সহকারি গ্রন্থাগারিকও বিপদে রয়েছেন। তারা একবার দারুলের সনদ নিয়ে নিয়োগ পেয়ে শর্ত সাপেক্ষে এমপিওভুক্ত হয়েছিলেন। এখন যদি দারুলের সনদই অবৈধ হয় তবে তাদের নিয়োগও অবৈধ। পুরোটাই নতুন করে শুরু করতে হবে মনে করছেন তারা। আঙ্কিত হয়ে খোঁজ নিচ্ছেন শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দুয়ারে।