দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারীর মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক |

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারী হারুন অর রশিদের প্রকাশ্যে মাদকসেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জেনেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতা ও নিয়মবহির্ভূত আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে।

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় শাখার উচ্চমান সহকারী হারুন অর রশিদ ও অফিস সহায়ক আশিফ রানা প্রকাশ্য দিবালোকে মাদক সেবন করছেন। জানা যায়, বোর্ড সংলগ্ন গোপালগঞ্জ বাজারের পূর্বপার্শ্বে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী হামিদের স্ত্রীর কাছ থেকে মাদক ক্রয় করে এবং শিক্ষা বোর্ডের আশেপাশে নিয়মিত ফেনসিডিল সেবন করে আসছেন। বোর্ডের এই শাখায় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন, স্বীকৃতি নবায়ন, পাঠদানের অনুমতি এবং একাডেমিক স্বীকৃতির কাজ করতে এসে দূরদূরান্তের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের হারুনকে ম্যানেজ করতে হয়। বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে তার সত্যতা পাওয়া গেছে। শিক্ষা বোর্ডের অপর কর্মচারী মনসুরুল আলম প্রধান রাজুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উত্থাপিত হলে সঙ্গে সঙ্গে তৎকালীন প্রশাসন তাকে ওএসডি করে রেখেছিল। কিন্তু হারুনের ক্ষেত্রে এ জাতীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দিনাজপুর কার্যালয় জানায়, দিনাজপুরে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আমরা হাতেনাতে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছি। বোর্ড ব্যবস্থা নিলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। সম্প্রতি আমরা সমাজসেবা অফিসের এক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হারুন বলেছেন, কাছের বন্ধুরা শত্রুতা করে এই ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়েছে। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক মো. জহির উদ্দিন বলেন, কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কারণ, এ বিষয়ে কিছু জানি না। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি জেনেছি। খুব শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050930976867676