২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়; নিয়ম অনুযায়ী আমরা দরখাস্ত ও ব্যাংক ড্রাফট করি। এর মধ্যে প্রায় তিন বছর পার হলেও ঐ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে কোনো কার্যক্রম এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি।
এদিকে পত্রিকার খবর অনুযায়ী বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের স্বল্পতায় শিশুদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটছে। আবার পত্রিকান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে প্রায় ৬০ হাজার ভুয়া সনদধারী বেসরকারি স্কুল/কলেজ/ মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছে। এই জাল সনদের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষীয় কোনো ব্যবস্থা নেই। নিবন্ধন পাস করে সনদ পেলেও মেধাবীদের চাকরির হাহাকার কোনোভাবেই থামছে না। বেসরকারি নিয়োগে নতুন কমিশন করা হলেও তার কার্যকারিতা নেই।
আবার দীর্ঘ সাত বছর ধরে কারণ ছাড়াই নন-এমপিও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওকরণ বন্ধ। রেজি. প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারি ঘোষণা করা হলেও নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশ শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা অপ্রতুল! এ অবস্থায়, শিক্ষক সংকট দূর করতে ২০১৪ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির অনুকূলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, পাস করা নিবন্ধনধারীদের প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় এবং বেসরকারি স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসায় নিয়োগ দেবার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোছা. উম্মে জামিলা (উর্মি)
কোতয়ালী, রংপুর