আজ সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হবে শবেকদর। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে সারা দেশে শবেকদর পালিত হবে। দেশের মসজিদে মসজিদে তারাবিতে পবিত্র কোরআন খতম উপলক্ষে বিশেষ মোনাজাত করা হবে। গোনাহ মাফ, মনোবাসনা পূরণ ও বিশ্ববাসীর সুখ-সমৃদ্ধির জন্য আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে মোনাজাতের পাশাপাশি অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করবেন। লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, ‘মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের অপার সুযোগ নিয়ে বরকতময় পবিত্র শবেকদর আমাদের মধ্যে সমাগত। মহিমান্বিত এই রজনীতে আমি মহান আল্লাহর দরবারে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য মাগফিরাত ও কল্যাণ কামনা করছি।’
লাইলাতুল কদরের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ায় আত্মনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘সব প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সব স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’
রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে নফল ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন।
পবিত্র শবেকদর উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে ওয়াজ মাহফিল, ধর্মীয় বয়ান ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।