নোয়াখালীর সেনবাগে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রে এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণের অপরাধে এক শিক্ষককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁর নাম মো. ইব্রাহিম (২৭)।
আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আলম নিজ কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের পর তাঁকে থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কাল বুধবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্র ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ প্রাথমিকের বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে গাজীরহাট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এক ছাত্রী (১১) প্রশ্ন বুঝতে অসুবিধা হলে হলে কর্তব্যরত পরিদর্শক মো. ইব্রাহিমের সহায়তা চান। তিনি ওই ছাত্রীকে প্রশ্ন বুঝিয়ে দেওয়ার সময় আপত্তিকরভাবে তার গায়ে হাত দেন। এ সময় ছাত্রী বিষয়টি বুঝতে পেরে কান্নাকাটি শুরু করে। তাৎক্ষণিক হলে পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা অন্য শিক্ষক ঘটনার প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে শিক্ষক ইব্রাহিমকে কেন্দ্র সচিবের কক্ষে নিয়ে বসিয়ে রাখা হয়।
সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আলম বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত শিক্ষককে এবং ঘটনার শিকার ছাত্রীকে শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে তাঁর কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
ইউএনও শারমিন আলম বলেন, ছাত্রীর বক্তব্য শোনার পর শিক্ষক নিজেই তাঁর দোষ স্বীকার করেছেন। যার ভিত্তিতে শিক্ষককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদেশের পর দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।