পিটিয়ে মায়ের হাত ভাঙলেন কলেজ শিক্ষক

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি |

রাজশাহীর বাগমারায় এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজ মায়ের হাত পিটিয়ে ভেঙে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (১৯ এপ্রিল) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাগমারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম সরদারের ছেলে ঈসাহাক আলী (৪৫)। তিনি সৈয়দপুর-মচমইল মহিলা ডিগ্রি কলেজের সিনিয়র প্রভাষক।

আহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, করোনায় ওই শিক্ষকের ছোট ভাই সরকারি অ্যাডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মাস্টার্স শ্রেণির শিক্ষার্থী ইস্রাইল বাড়ি আসেন। টয়লেট ও ওযুর প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের হতেন না তিনি। কিন্তু ঈসাহাক ব্যাপারটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না। ইস্রাইলকে মারধর ও বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাইলে শুরু হয় পারিবারিক দ্বন্দ্ব। এসময় মা সুফিয়া বেওয়া (৬৫) বাধা দিলে তাঁকেও পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয় ঈসাহাক।

বয়োবৃদ্ধ মায়ের অপর সন্তান ইস্রাফিল সাংবাদিকদের জানান, ‘এর পূর্বেও মাকে ভাইয়া মানসিক, শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছেন।’

তিনি আরও জানান, ‘পৈত্রিক ধন-সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা ছাড়া বেশি ভোগ দখলে নিয়েছেন বড় ভাইয়া ঈসাহাক আলী। সেগুলো বুঝিয়ে দিতে বললে ছোট ভাইদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালান।’

অভিযুক্ত ঈসাহাক আলীর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছোট ভাই হোম কোয়ারেন্টিন না মানায় একটু শাসন করেছি, মায়ের হাত কীভাবে ভাঙ্গল তা বুঝতে পারছি না।’

মুঠোফোনে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, ‘কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। বিষয়টি সমন্ধে খোঁজ নেয়া হবে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041279792785645