পেটের ব্যথায় ২ যুবককে প্রেগন্যান্সি টেস্ট দিলেন ডাক্তার!

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

‘সফদার ডাক্তার/মাথা ভরা টাক তার/খিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে.../ম্যালেরিয়া রোগী এলে/তার নাই নিস্তার/ধরে তারে দেয় কেঁচো গিলিয়ে।/আমাশার রোগী এলে/দুই হাতে কান ধরে/পেটটারে ঠিক করে কিলিয়ে।’ 

কবিতায়-গল্পে এমন আজব ডাক্তারের কথা আমাদের অজানা নয়। কিন্তু বাস্তবেও এমন আজগুবি চিকিৎসাসেবা দেওয়া ডাক্তার থাকা কী সম্ভব? বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, সম্ভব!

সম্প্রতি প্রচণ্ড পেট ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন দুই যুবক। কিন্তু প্রেসক্রিপশন দেখে তাদের মাথায় রীতিমত আকাশ ভেঙে পড়ে। ওই দুই যুবককে চিকিৎসক কিনা দিয়েছেন প্রেগন্যান্সি টেস্ট! 

ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ছাতরা জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, কয়েকদিন আগে গোপাল গাঞ্জু ও কামেশ্বর ঝানু নামে দুই যুবক পেটের ব্যথায় ছাতরার সিমারিয়া হাসপাতালে চিকিৎসক মুকেশ কুমারের কাছে যান। সব দেখে-শুনে ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে লেখেন তাদের প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাতে হবে। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে তাদের এইচআইভি ও হিমোগ্লোবিন টেস্ট করার পরামর্শও দেওয়া হয় ব্যবস্থাপত্রে (প্রেসক্রিপশন)।  

খবরে বলা হয়, পরবর্তীতে ওই প্রেসক্রিপশন দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসক মুখেশের বিরুদ্ধে জেলা সিভিল সার্জন অরুণ কুমার পাসওয়ানের কাছে অভিযোগ করেন দুই যুবক। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানান পাসওয়ান।   

এদিকে প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ থাকলেও, এমন কিছু লেখার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। 

ভারতে এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও চলতি বছরের জুলাই মাসে পূর্ব সিংভূম জেলায় আরেক ডাক্তার পেটের ব্যথায় এক নারীকে কন্ডম ব্যবহারের প্রেসক্রিপশন দেন। সেটি নিয়ে ওষুধ কেনার উদ্দেশ্যে ফার্মাসিতে যাওয়ার পরই ওই নারী কন্ডমের ব্যাপারটি জানতে পারেন। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045349597930908