নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভুলে ফরম ফিলাপ না হওয়ায় আগামী রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না দুই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় চরম হতাশায় পড়েছেন ওই দুই ছাত্র ও তাদের পরিবার। উপজেলার নগর ইউনিয়নের কুমারখালী দাখিল মাদরাসার সুপার আহমাদুল্লাহর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী হলেন কুমারখালী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান ও নগর গ্রামের জিহাদ আলী। সাধারণ শাখা থেকে তাদের এবার দাখিল পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিলো।
আশিকুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রায় তিনমাস আগের ফরম পূরণের টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সুপারের কাছে জমা দেই। পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিতে মাদরাসার অফিসে গিয়ে জানতে পারি আমার ফরম পূরণ হয়নি। পরে সুপারের কাছে গেলে তিনি এক বছর অপেক্ষা করতে বলেন।
জিহাদ আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রবেশপত্র নিতে গিয়ে জানলাম আমাদের রেজিস্ট্রেশনে সমস্যা হয়েছে। তাহলে ফরম ফিলামের টাকা কেনো নিলেন সুপার। আবার সে কথাটি আমরা প্রবেশপত্র নিতে এসে জানলাম। প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদেরকে জানানো হয়নি। দুই বছর ধরে পড়ালেখা করে পরীক্ষাই দিতে পারছি না। এটা কিছু হলো নাকি।
মাদরাসা সুপার আহমাদুল্লাহ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, করোনাকালীন সময়ে সব শিক্ষার্থীর কাগজপত্র না পাওয়ায় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন না হয়ে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের পরীক্ষার জন্য এদের রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। তাই ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়াম খাতুন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।