প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীকে প্রাধান্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নারী নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, জাতির জনক বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আর তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরুষ শাসিত সমাজের বিরুদ্ধে সংকল্প বদ্ধ হয়েছেন। রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি বিশ্বে নারী নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
শনিবার (৯ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদের হুইপ সানজিদা খানম, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
শামসুল হক বলেন, বাবার রেখে যাওয়া সংবিধান এবং স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার আলোকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে সেই স্বপ্ন পূরণের পথে অগ্রসর হচ্ছেন। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর উন্নয়নে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারী উন্নয়ন নীতি করেছে। কিন্তু সেটি যখন বাস্তবায়ন করতে যায় তখনই একাত্তরের পরাজিত শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে গিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী চক্ররা যখন তৎপর হয়ে ওঠে, তখন সরকারের জন্য তা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এই চ্যালেঞ্জ শুধু সরকারকেই নয়, অভিভাবকদেরও তা মোকাবিলা করতে এগিয়ে আসতে হবে।
সানজিদা খানম বলেন, নারী ঘরে সম্মান পেলে সমাজেও সম্মান পায়। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, নারী পুরুষের সম্মিলিত কাজের মধ্য দিয়েই সমাজ এগিয়ে যাবে। নারীর জন্য সরকার যেমন বিনিয়োগ করবে তেমনি পরিবারকেও বিনিয়োগ করতে হবে। এই বিনিয়োগ শুধু আর্থিকভাবেই বিনিয়োগ নয় মানসিকভাবেও তারা যেনো সক্ষম হয়ে গড়ে ওঠে সেই ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করতে হবে। নারীর জন্য অনেক অনেক আইন, নীতিমালা হয়েছে। কিন্তু এর যথাযথ বাস্তবায়ন নেই। জেন্ডার বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি সেই অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি মনিটরিং করার আহ্বান জানান তিনি।
শ্যামল দত্ত বলেন, দিবসটি যদিও আন্তর্জাতিক নারী দিবস। কিন্তু আমি বলবো মানবাধিকার দিবস। দেশে নারীর অগ্রগতি যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। আমাদের পরিবার, সমাজে এখনো নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। দেশে নারীর অধিকারের ক্ষেত্রে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে এখনো পিছিয়ে আছি।
গোয়েন লুইস বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, গণপরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর জন্য বিনিয়োগ হচ্ছে স্মার্ট অর্থনীতিতে বিনিয়োগ। সমাজে নারীর প্রতি যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তা পরিবর্তন করতে গণমাধ্যমকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।