বরিশালের উজিরপুর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্কুলে না আসাসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষিকাকে মারধর ও হিন্দু মহিলা বলে তিরস্কার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সহকারী শিক্ষক অভিযুক্ত শেখ আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে উজিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান শিক্ষিকা নূপুর কর্মকার।
অভিযোগ ও ভুুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নে ৭১ নম্বর হস্তিশুন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেখ আব্দুল কাদির রিতিমতো স্কুলে না আসা এবং শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোনে কথা বলে। প্রধান শিক্ষককের অনুমতি ছাড়া যে কোনো সময় বাইরে বের হয়। আবার মাঝে মধ্যে সমাবেশে উপস্থিত হলেও জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন করে না। উগ্র মেজাজ ও সব শিক্ষিকাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের প্রতিবাদ করায় গত ৩ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহিলা প্রধান শিক্ষিকাকে হিন্দুু মহিলা বলে তিরস্কারসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষিকা নূপুর কর্মকারকে মারধর করার জন্য তেড়েও আসে সহকারী শিক্ষক শেখ আব্দুল কাদির। এছাড়াও শেখ কাদিরের বিরুদ্ধে একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা অভিযোগ করে বলেন, তার বাবা মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব দেখিয়ে সরকারি আইন ও নিয়মকানুনকে তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক শেখ আব্দুল কাদিরকে ঐ স্কুল থেকে অপসারণের দাবিতে ভুক্তভোগী মহিলা প্রধান শিক্ষিকা নূপুর কর্মকার বাদী হয়ে উজিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক শেখ আব্দুল কাদির জানান, আমার সামান্য ভুল হয়েছে আমি গত ২ এপ্রিল প্রধান শিক্ষিকার কাছে না বলে নামাজ ও বাথরুমে যাওয়ার জন্য বাড়িতে যাই। এ কারণে প্রধান শিক্ষিকা নূপুর কর্মকার আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।