অসাধু চক্রের নানা ধরনের অপপ্রয়াস, ডিজিটাল জালিয়াতি, প্রশ্নফাঁসসহ নানা ধরনের তৎপরতা ছিলো। তাদের মূলোৎপাটনের একটা উদ্যোগ আমরা নিয়েছিলাম। সেই সূত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং তাদের বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যার ফলে সে বিষয়টি এখন নেই তবুও আমরা সতর্ক রয়েছি।
শনিবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কলাভবন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিক এক প্রশ্নের জবাবে ঢাবি উপাচার্য এ কথা জানান।
ভর্তি পরীক্ষায় অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা এখন যথেষ্ট ম্যাচিউর। তাদেরকে আমাদের ছেড়ে দিতে হবে। তাদের নিজের মতো করে কাজ করতে দিয়ে সক্ষম করে তোলা আমাদের জন্য জরুরি। একজন শিক্ষার্থীর পেছনে যেন দুইজন অভিভাবক না আসেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা মেধা এবং সক্ষমতার স্বাক্ষর ইতোমধ্যে রেখেছে ভালো ফলাফলের মাধ্যমে।
তিনি আরো বলেন, বাড়তি যানবাহন, অন্যান্য পরিবহন সেগুলো যেন প্রবেশ না করে, যাতে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। বাড়তি মানুষের চাপ, উৎসুক মানুষের চাপ যেন না থাকে। কেননা শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আছেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আছেন, স্বেচ্ছাসেবকরা আছেন। সহযোগিতার সকল ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা আশা করবো সামনের দিনগুলোতেও পারিপার্শ্বিক অবস্থা ভালো থাকবে। এ ক্ষেত্রে সব মহলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এর আগে বেলা ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রসহ একযোগে দেশের আট বিভাগীয় কেন্দ্রে এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। চলতি শিক্ষাবর্ষে ২ হাজার ৯ শত ৩৪টি আসনের বিপরীতে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৫ জন পড়ে, সেই হিসেবে প্রতি আসনে লড়েছেন ৪২ জন ভর্তিচ্ছু।