বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষা ছুটিতে ১১০ শিক্ষক, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ৩১৪ শিক্ষকের মধ্যে শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন ১১০ জন। এখানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আন্তর্জাতিক গড় অনুপাতের ন্যূনতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। সেখানে  এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গড় অনুপাত রয়েছে ১:৫০। অর্থাৎ প্রতি পঞ্চাশ শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র একজন শিক্ষক। 

জানা যায়, কিছু বিভাগে ১০ ভাগ থেকে ৩০ ভাগ শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে থাকলেও বেশ কিছু বিভাগে ৫০ ভাগ থেকে ৭০ ভাগ শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২৪ শিক্ষকের মধ্যে ১৫ শিক্ষক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছয় শিক্ষকের মধ্যে তিন শিক্ষক, রসায়ন বিভাগের ১২ শিক্ষকের মধ্যে আট শিক্ষক, মার্কেটিং বিভাগের আট শিক্ষকের মধ্যে ছয় শিক্ষক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১০ শিক্ষকের মধ্যে পাঁচ শিক্ষক, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের আট শিক্ষকের মধ্যে চার শিক্ষক, ফার্মেসি বিভাগের ১২ শিক্ষকের মধ্যে ছয় শিক্ষক, পরিবেশবিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাত শিক্ষকের মধ্যে চার শিক্ষক, পরিসংখ্যান বিভাগের ১৪ শিক্ষকের মধ্যে সাত শিক্ষক এবং অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১২ শিক্ষকের মধ্যে ছয় শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন। এর মধ্যে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নুরুন্নবী, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. পিয়ার হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে হাফসা আশা ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. নুরুল আনোয়ার ইতোমধ্যে নিজেদের চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ছুটির নিয়মে এক বিভাগের শতকরা ৪০ ভাগ শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে থাকার নিয়ম থাকলেও বর্তমানে নেই এ সংক্রান্ত কোনো বিধিবিধান। তবে চাকরিতে যোগদানের দুই বছর শেষে পিএইচডি ও এমফিল করতে শিক্ষা ছুটি পাওয়ার বিধান বর্তমানে কার্যকর রয়েছে। এতে পিএইচডি করার জন্য

পাঁচ বছর ও এমফিল বা স্নাতকোত্তর করার জন্য সর্বোচ্চ দুবছরের সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও সময়সীমা শেষে বিদেশ থেকে ফিরছেন না অনেক শিক্ষক। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান করা শিক্ষকদেরও নিজেদের নির্ধারিত ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি নিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ক্লাস। এতে একাধিক বিভাগে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, শিক্ষা ছুটিতে থাকা শিক্ষকদের মধ্যে যাদের ছুটি শেষ হয়েছে, তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরানোর জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে। তারা না ফিরলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এর মধ্যে যারা অব্যাহতির আবেদন করেছেন, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সব দেনা পাওনা মেটানো শেষে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম থেকেই শিক্ষক সংকট সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ইউজিসি ও রিজেন্ট বোর্ডে আলোচনা করে বেশকটি বিভাগে স্থায়ী ও খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও - dainik shiksha ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল - dainik shiksha বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক - dainik shiksha এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত - dainik shiksha জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন - dainik shiksha এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026578903198242